স্টাফ রিপোর্টার: মঙ্গলের বুকে নতুন ইতিহাস রচনা করল নাসা। সোমবার লাল গ্রহের আকাশে উড়ল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হেলিকপ্টার ইনজেনুইটি।
এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহের আকাশে হেলিকপ্টার উড়তে দেখা গেল।
নিঃসন্দেহে মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে এক নতুন অধ্যায় রচিত হলো। স্বাভাবিকভাবেই এমন সাফল্যের আনন্দে উচ্ছ্বসিত নাসার বিজ্ঞানী ও কর্মীরা। নাসার শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পৃথিবীতে বসে স্ক্রিনে সাফল্যের মুহূর্তের সাক্ষী থাকার সময় কেমন করে দু’হাত তুলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন সকলে।
এই সাফল্যকে বর্ণনা করতে গিয়ে নাসার এক শীর্ষ ইঞ্জিনিয়ারের কথায়, ‘এটা আমাদের রাইট ব্রাদার্স মুহূর্ত।’’
প্রসঙ্গত, মানব সভ্যতার ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত রচিত হয়েছিল যেদিন রাইট ভাইদের তৈরি বিমান আকাশে উড়েছিল। কার্যত সেই ইতিহাসেরই এক সম্প্রসারিত অধ্যায় হিসেবে এদিনে সাফল্যকে দেখছে নাসা। আর সেই কারণেই মঙ্গলে উড়া এই হেলিকপ্টারের মধ্যেই রাখা ছিল ছোট্ট কাপড়ের এক টুকরো। এই কাপড়ের টুকরোটি ছিল ফ্লাইয়ার ওয়ান নামের বিমানের ডানায়। ওই বিমানটিই ১৯০৩ সালে উড়িয়েছিলেন রাইট ভাইরা।
নাসার এই সাফল্য অবশ্য একদিনে আসেনি। বহুবারই উদ্যোগ নিয়েও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এসেছেন বিজ্ঞানীরা। তবে হাল ছাড়েননি তারা। অবশেষে সোমবার এল কাঙ্ক্ষিত সাফল্য।
এদিন মঙ্গল-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ ফুট উপরে উড়তে দেখা যায় নাসার এই কপ্টারকে। কেবল আকাশে উড়াই নয়, এরপর ধীরে ধীরে সেটিকে মাটিকে নেমে আসতেও দেখা যায়। মঙ্গলে বাতাসের ঘনত্ব পৃথিবীর থেকে ৯৯ শতাংশ কম। এমন প্রতিকূলতায় হেলিকপ্টার উড়ানো ছিল রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। ইনজেনুইটি কেবল উড়েইনি, মাটি থেকে তিন মিটার উপরেও উঠেছে। আর তাতেই অভিভূত নাসা।
চলতি মাসের শুরুতেই পার্সিভিয়ারেন্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে হেলিকপ্টারটি। আশা করা হচ্ছে, নাসা কপ্টারটির উড়ে বেড়ানোর আরও ভিডিও পোস্ট করবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।