পাবনা প্রতিনিধি: রাতে বন্ধুর ফোন পেয়ে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে বের হন নাজমুল হোসেন (২৮)। পরে বন্ধুর হাতেই খুন হন তিনি। ওই বন্ধুকে আটকের পর তার দেয়া তথ্যমতে পুলিশ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পাবনা জেলার সাঁথিয়া পৌরসভার কাটিয়াদহ বিল পাড় থেকে নাজমুলের লাশ উদ্ধার করেছে।
নিহত নাজমুল সাঁথিয়া পৌরসভার শশদিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ও আওয়ামী লীগের শশদিয়া গ্রাম কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর ঘাতক বন্ধু শাকিল শশদিয়া গ্রামের আব্বাস মোল্লার ছেলে। তারা দুজনই জুয়ায় আসক্ত ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
পুলিশ নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে জানায়, শাকিল ও নাজমুলের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে নাজমুলকে তার বন্ধু শাকিল ডেকে নিয়ে যান।
এর ঘণ্টা তিনেক পর নাজমুল রাত ১১টায় বাড়ি আসেন। বাড়ি থেকে ২৮ হাজার টাকা নিয়ে আবার বের হন। সারারাত ও মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত নাজমুল বাড়ি না ফেরায় তা বাড়ির লোকজন মঙ্গলবার দুপুরে সাঁথিয়া থানা পুলিশকে জানান।
পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে তারা তাৎক্ষণিক কাজ শুরু করে। এরপর শাকিলের অবস্থান শনাক্ত করে তাকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করা হয়। তিনি পুলিশের কাছে বন্ধুকে হত্যার দায় স্বীকার করেন। তার দেয়া বর্ণনা মোতাবেক সাঁথিয়া পৌরসভার শশদিয়া গ্রামের পাশে কাটিয়াদহ বিল পাড়ের একটি জমি থেকে নাজমুলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাঁথিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার মঙ্গলবার রাতে জানান, নিহত নাজমুল আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তবে এ হত্যাকাণ্ড কেন ঘটেছে তা তিনি জানেন না।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম জানান, নিহত নাজমুলের মাথায় গভীর ক্ষত হয়ে মগজ বেরিয়ে গেছে। এছাড়াও তার অণ্ডকোষে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গ্রেফতার শাকিল জানিয়েছে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় নাজমুলকে সে খুন করে। এ হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।