ঢাকা ০৫:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ জয়ের রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক: মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমদের সাজানো ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড়টা দিলেন হাসান আলি। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।

দুই ছয় ও এক চারের মারে মাত্র চার বলেই সেটি নিয়ে নেন ৭ বলে ২০ রান করে ম্যাচ জেতানো হাসান। এ জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।

শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম পুরুষ দল হিসেবে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ জয়ের রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে তারা। দীর্ঘদিন ধরে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রেখেছিল পাকিস্তান।

২০০৭ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে রানার্সআপ হয়েছিল তারা। তবে পরের আসরেই জিতে নেয় নিজেদের প্রথম শিরোপা। সেই শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক পাকিস্তান।

যার প্রমাণ মিলল এবার বিরল রেকর্ডের মাধ্যমেও। এখনও পর্যন্ত খেলা ১৬৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ১০০টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, হেরেছে ৬১টি এবং পরিত্যক্ত ছিল ২টি। পুরুষ দল হিসেবে প্রথম হলেও, পাকিস্তানের আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরি রয়েছে ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮ জয় রয়েছে ভারতের। এছাড়া পঞ্চাশের বেশি জয় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৭১), অস্ট্রেলিয়া (৬৯), নিউজিল্যান্ড (৬৫), ইংল্যান্ড (৬৪), শ্রীলঙ্কা (৫৯), আফগানিস্তান (৫৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৫৪)। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ৯৬টি ম্যাচ খেলে জিতেছে ৩২টিতে।

রোববার রাতে পাকিস্তানের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ডেভিড মিলারের ঝড়ো ৮৫ রানের ইনিংসের পরও ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

জবাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬ উইকেট হারিয়ে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন হাসান আলি।

রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানকে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.১ ওভারে আসে ৫১ রান। হায়দার আউট হন ১৩ বলে ১৫ রান করে, সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা রিজওয়ান করেছেন ৩০ বলে ৪২ রান।

পরে অধিনায়ক বাবর আজম দায়িত্ব নেন মাঝে সব ঠিক রাখার। ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে বাবর করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। শেষদিকে দায়িত্ব নেন হাসান আলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ। হাসান ৭ বলে ২০ ও নওয়াজ ১১ বলে ১৮ রান করে ম্যাচ জেতান।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একাই লড়াই করেন ডেভিড মিলার। মাত্র ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি ১৬৪ রান করার পুরো কৃতিত্ব কিলার মিলার খ্যাত এ ব্যাটসম্যানের। ছয় নম্বরে নেমে তিনি ৪৫ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ের মারে খেলেছেন ৮৫ রানের ইনিংস।

মিলারের ইনিংসের সুবাদেই দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৮ উইকেটে ১৬৪ রানের সংগ্রহ। যা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ হয়নি। পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ ৩ এবং হাসান আলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

 

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

পাকিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ জয়ের রেকর্ড

আপডেট সময় ০৮:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ক্রীড়া ডেস্ক: মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমদের সাজানো ক্যানভাসে তুলির শেষ আঁচড়টা দিলেন হাসান আলি। শেষ দুই ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রান।

দুই ছয় ও এক চারের মারে মাত্র চার বলেই সেটি নিয়ে নেন ৭ বলে ২০ রান করে ম্যাচ জেতানো হাসান। এ জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিক পাকিস্তান।

শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম পুরুষ দল হিসেবে কুড়ি ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ জয়ের রেকর্ডও গড়ে ফেলেছে তারা। দীর্ঘদিন ধরে আইসিসি টি-টোয়েন্টি র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থান নিজেদের দখলে রেখেছিল পাকিস্তান।

২০০৭ সালে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির প্রথম আসরে রানার্সআপ হয়েছিল তারা। তবে পরের আসরেই জিতে নেয় নিজেদের প্রথম শিরোপা। সেই শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিক পাকিস্তান।

যার প্রমাণ মিলল এবার বিরল রেকর্ডের মাধ্যমেও। এখনও পর্যন্ত খেলা ১৬৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে ১০০টিতেই জিতেছে পাকিস্তান, হেরেছে ৬১টি এবং পরিত্যক্ত ছিল ২টি। পুরুষ দল হিসেবে প্রথম হলেও, পাকিস্তানের আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের সেঞ্চুরি রয়েছে ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দলের।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৮ জয় রয়েছে ভারতের। এছাড়া পঞ্চাশের বেশি জয় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা (৭১), অস্ট্রেলিয়া (৬৯), নিউজিল্যান্ড (৬৫), ইংল্যান্ড (৬৪), শ্রীলঙ্কা (৫৯), আফগানিস্তান (৫৫) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (৫৪)। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ৯৬টি ম্যাচ খেলে জিতেছে ৩২টিতে।

রোববার রাতে পাকিস্তানের রেকর্ড গড়ার ম্যাচে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ডেভিড মিলারের ঝড়ো ৮৫ রানের ইনিংসের পরও ১৬৪ রানের বেশি করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

জবাবে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৬ উইকেট হারিয়ে ৮ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে স্বাগতিকরা। ছয় মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন হাসান আলি।

রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানকে জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হায়দার। উদ্বোধনী জুটিতে ৬.১ ওভারে আসে ৫১ রান। হায়দার আউট হন ১৩ বলে ১৫ রান করে, সিরিজসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা রিজওয়ান করেছেন ৩০ বলে ৪২ রান।

পরে অধিনায়ক বাবর আজম দায়িত্ব নেন মাঝে সব ঠিক রাখার। ইনিংসের ১৪তম ওভারের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে বাবর করেন ৩০ বলে ৪৪ রান। শেষদিকে দায়িত্ব নেন হাসান আলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ। হাসান ৭ বলে ২০ ও নওয়াজ ১১ বলে ১৮ রান করে ম্যাচ জেতান।

এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একাই লড়াই করেন ডেভিড মিলার। মাত্র ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারানো দলটি ১৬৪ রান করার পুরো কৃতিত্ব কিলার মিলার খ্যাত এ ব্যাটসম্যানের। ছয় নম্বরে নেমে তিনি ৪৫ বলে ৫ চার ও ৭ ছয়ের মারে খেলেছেন ৮৫ রানের ইনিংস।

মিলারের ইনিংসের সুবাদেই দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৮ উইকেটে ১৬৪ রানের সংগ্রহ। যা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ হয়নি। পাকিস্তানের পক্ষে বল হাতে অভিষিক্ত জাহিদ মাহমুদ ৩ এবং হাসান আলি ও মোহাম্মদ নওয়াজ নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।