সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: ছবি তোলায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে স্থানীয় এক সাংবাদিককে বেদম মারধর করা হয়েছে। মারধরের পর তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এমন দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা নিজের ফেসবুক আইডিতে এই ভিডিও ছেড়ে দিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করা হচ্ছিল।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে দৈনিক সংবাদ ও দৈনিক শুভ প্রতিদিনের তাহিরপুর উপজেলা প্রতিনিধি কামাল হোসেন পাড় কেটে বালু-পাথর উত্তোলনের ছবি তুলতে যান। ছবি তুলতে দেখে পাথর কাটার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা তাকে মারধর করেন এবং ঘাগটিয়া চকবাজারে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন।
ভাইরাল ১ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরের পর সাংবাদিক কামাল হোসেনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার মুখমণ্ডলে আঘাতের চিহ্ন। চারপাশ ঘিরে রেখেছে মানুষ। একপর্যায়ে তার বাঁধন খুলে দেয়া হয়। তবে হামলাকারীদের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, হামলাকারীরা জাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু-পাথর উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত। তাদের অভিযোগ, চক্রটির কারণে জাদুকাটা নদী ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জিয়ারুল হক বলেন, ‘জনসম্মুখে সাংবাদিককে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয়েছে। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে তাহিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসি।’
হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাশমির রেজা বলেন, ‘এক সাংবাদিক জাদুকাটা নদীতে অবৈধভাবে পাড় কেটে বালু-পাথর উত্তোলন করার ছবি তুলতে যান। তাকে ছবি তুলতে দেখে প্রকাশ্যে পাথরখেকোরা গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করে।
আমি জোর দাবি জানাই, এর সঙ্গে যারা জড়িত তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ তাহিরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’