ঢাকা ০৮:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

নওগাঁর বদলগাছীতে মিষ্টি আলু আবাদে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক

স্টাফ রিপোর্টারঃ  নওগাঁর বদলগাছীতে মিষ্টি আলু আবাদে সফলতার মুখ দেখছেন চাষি নুর ইসলাম। তিনি উপজেলার দাউতপুর গ্রামের মাঠে ছোট যমুনার নদীর তীরে প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে উন্নত জাতের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

চাষি নুর ইসলাম বলেন, নদীর চরে ২০ শতাংশ জমিতে আগে অন্য ফসলের আবাদ করতেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতেন না। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলুর বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করেছেন।

তিনি আশাবাদী এ সামান্য জমি থেকে প্রায় ৫০-৬০ মণের মতো আলু পাবেন। যেখানে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।তিনি বলেন- মিষ্টি আলু রোপণের আগে জমি প্রস্তুত করতে পাওয়ার টিলার দিয়ে তিনটি চাষ করেছেন।

এরপর জৈব সার, জিপসাম সার, ইউরিয়া, জিংক ও পটাশ দেয়া হয়। যেখানে গোবর ৪০ ভার (৮০ ঝুড়ি), জিপসাম সার ৩৫ কেজি, জৈবসার ৪০ কেজি, জমি চাষাবাদের আগে ও সেচের সময় দুই দফায় ইউরিয়া সার ৩০ কেজি, ডিএপি ৩০ কেজি এবং সেচ একবার।

এতে প্রায় চারা কেনাসহ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। জমি চাষের ১৫ দিন পর চারা রোপণ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলু বারী-৮ জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়।

নুর ইসলাম বলেন- জমি রোপণ করে প্রায় ৩ মাস হয়েছে। এটা মৌসুমী খেত। মাটিতে রস থাকলে একবার সেচ দিলেই হয়। তবে রোগ বালাই নাই বললেই চলে।

আগে ওই জমিতে পাট ছিল। অফিসের পরামর্শে আলু লাগিয়েছি। এবার সফল হলে আবারও আলু লাগাবো। আলু উঠানোর পর ওই জমিতে পটল লাগানো হবে।

একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। সেখানে কৃষি অফিস থেকে আমাদের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আগামীতে আমরা নদীর চরের জমি গুলোতে মিষ্টি আলুর আবাদ করবো।

বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী বলেন, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে।

মিষ্টি আলু চাষে সময় লাগে কম এবং ফলনও ভালো হয়। প্রতি বিঘাতে প্রায় ১০০-১৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এটি লাভজনক ফসল এবং দামও ভালো।

তিনি বলেন, বাড়ির আশপাশে আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ ফলন পেতে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

নওগাঁর বদলগাছীতে মিষ্টি আলু আবাদে সফলতার মুখ দেখছেন কৃষক

আপডেট সময় ০২:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ  নওগাঁর বদলগাছীতে মিষ্টি আলু আবাদে সফলতার মুখ দেখছেন চাষি নুর ইসলাম। তিনি উপজেলার দাউতপুর গ্রামের মাঠে ছোট যমুনার নদীর তীরে প্রায় ২০ শতাংশ জমিতে মিষ্টি আলু চাষ করেছেন।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বাড়ির আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে উন্নত জাতের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

চাষি নুর ইসলাম বলেন, নদীর চরে ২০ শতাংশ জমিতে আগে অন্য ফসলের আবাদ করতেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত ফলন পেতেন না। এ বছর কৃষি অফিসের পরামর্শে কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলুর বীজ সংগ্রহ করে আবাদ করেছেন।

তিনি আশাবাদী এ সামান্য জমি থেকে প্রায় ৫০-৬০ মণের মতো আলু পাবেন। যেখানে প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো বিক্রি হবে।তিনি বলেন- মিষ্টি আলু রোপণের আগে জমি প্রস্তুত করতে পাওয়ার টিলার দিয়ে তিনটি চাষ করেছেন।

এরপর জৈব সার, জিপসাম সার, ইউরিয়া, জিংক ও পটাশ দেয়া হয়। যেখানে গোবর ৪০ ভার (৮০ ঝুড়ি), জিপসাম সার ৩৫ কেজি, জৈবসার ৪০ কেজি, জমি চাষাবাদের আগে ও সেচের সময় দুই দফায় ইউরিয়া সার ৩০ কেজি, ডিএপি ৩০ কেজি এবং সেচ একবার।

এতে প্রায় চারা কেনাসহ সাড়ে ৭ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে। জমি চাষের ১৫ দিন পর চারা রোপণ করা হয়। কৃষি অফিস থেকে মিষ্টি আলু বারী-৮ জাতের বীজ সংগ্রহ করা হয়।

নুর ইসলাম বলেন- জমি রোপণ করে প্রায় ৩ মাস হয়েছে। এটা মৌসুমী খেত। মাটিতে রস থাকলে একবার সেচ দিলেই হয়। তবে রোগ বালাই নাই বললেই চলে।

আগে ওই জমিতে পাট ছিল। অফিসের পরামর্শে আলু লাগিয়েছি। এবার সফল হলে আবারও আলু লাগাবো। আলু উঠানোর পর ওই জমিতে পটল লাগানো হবে।

একই গ্রামের কৃষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন আগে মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। সেখানে কৃষি অফিস থেকে আমাদের মিষ্টি আলু চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। আগামীতে আমরা নদীর চরের জমি গুলোতে মিষ্টি আলুর আবাদ করবো।

বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হাসান আলী বলেন, মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ আছে।

মিষ্টি আলু চাষে সময় লাগে কম এবং ফলনও ভালো হয়। প্রতি বিঘাতে প্রায় ১০০-১৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। এটি লাভজনক ফসল এবং দামও ভালো।

তিনি বলেন, বাড়ির আশপাশে আনাচে-কানাচে ও পতিত জমিতে মিষ্টি আলু চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। অধিক পরিমাণ ফলন পেতে উন্নত জাতের ফসল উৎপাদনে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।