স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে ঠান্ডায় ধান রোপণে নামতে পারছেন না নওগাঁর কৃষকরা।প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশার কারণে রোপণে কিছুটা বিঘ্ন হচ্ছে।
আবহাওয়া ভালো হওয়ার অপেক্ষা করছেন চাষিরা। এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে কিছুটা উচ্ছাস দেখা গেছে।
গত দুই সপ্তাহ ধরেই জেলায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে বইছে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। এতে বোরো বীজতলা রক্ষা করতে নিতে হচ্ছে বাড়তি যত্ন।
তবে দেরিতে চাষাবাদ হলেও ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে কৃষি বিভাগ।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. সামসুল ওয়াদুদ বলেন, অধিকাংশ বীজতলা ম্যাচিউরড অবস্থায় রয়েছে। তাই বীজতলাগুলোর ক্ষতি হবে না।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি বোরো মওসুমে জেলায় ১ লাখ ৮৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আর রোপণ হয়েছে ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে।
বদলগাছী আবহাওয়া অধিদফতরের সূত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ জানুয়ারি) ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াম তাপমাত্রা। শীতের কারণে ইরি-বোরো রোপণে বিঘ্ন হচ্ছে।
পৌষের মাঝামাঝিতে ধান রোপণ শেষ হলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় এবার পড়ে আছে বিস্তীর্ণ মাঠ। দেরিতে চাষাবাদের কারণে ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চাষিরা। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া দ্রুত উন্নতি হলে বোরো আবাদে তেমন প্রভাব পড়বে না।
পৌষের শুরুতেই বরেন্দ্র এলাকার মাঠে মাঠে ধান রোপণে চাষিদের বাড়ে ব্যস্ততা। কিন্তু পৌষ পেরিয়ে মাঘের সপ্তাহ পার হতে চলেছে পড়ে আছে ধানের জমির বিস্তীর্ণ মাঠ। গত বন্যায় দেরিতে ফলন ঘরে তোলার পর এখন বৈরী আবহাওয়া বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে চাষিদের। তীব্র শীত আর কনকনে ঠান্ডায় চাষিরা নামতে পারছেন না ধান চাষে।
এ অবস্থায় হাতেগোনা কিছু কৃষক জমি তৈরি ও ধান রোপণের প্রস্তুতি নিলেও বিলম্বিত চাষাবাদে কাঙ্ক্ষিত ফলন পাওয়া নিয়ে আছেন দুশ্চিন্তায়।