ঢাকা ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নওগাঁ চন্ডিপুর মাঠ থেকে কিশোরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁ: নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন গঙ্গাকান্দি পাশের মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।নিহত সবুজ হোসেন (১৬) আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মাগুড়া পাড়ার সাজ্জাত হোসেনের ছেলে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, নিহত ভ্যান চালক কিশোরকে রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে।

এছাড়া নিহতের চোখ ও মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বাবা সাজ্জাত হোসেন জানান, সবুজ সোমবার সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে রাতেও বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

“আমরা আশপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। এরপর মঙ্গলবার জানতে পারি আমার ছেলেকে মেরে ফেলে রেখে গেছে।”

তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের সাথে কারো কোনো শত্রুতা নাই। ছেলের রিকশাভ্যানটিও পাওয়া যাচ্ছে না। ধারনা কেউ ভ্যান ছিনতাই করে আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে।

চুন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় স্থানীয় কয়েকজন গঙ্গাকান্দি মাঠের মাঝখানে এক বাঁশঝাড়ে লাশটি দেখতে পেয়ে আমাকে জানালে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ওসি।

ট্যাগস

নওগাঁ চন্ডিপুর মাঠ থেকে কিশোরের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় ০৬:১২:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁ: নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন গঙ্গাকান্দি পাশের মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।নিহত সবুজ হোসেন (১৬) আত্রাই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মাগুড়া পাড়ার সাজ্জাত হোসেনের ছেলে।

নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, নিহত ভ্যান চালক কিশোরকে রাতের কোনো এক সময় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারনা করছে।

এছাড়া নিহতের চোখ ও মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের বাবা সাজ্জাত হোসেন জানান, সবুজ সোমবার সকালে ভ্যান নিয়ে বের হয়ে রাতেও বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে বন্ধ পাওয়া যায়।

“আমরা আশপাশে অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনো সন্ধান পাইনি। এরপর মঙ্গলবার জানতে পারি আমার ছেলেকে মেরে ফেলে রেখে গেছে।”

তিনি বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমাদের সাথে কারো কোনো শত্রুতা নাই। ছেলের রিকশাভ্যানটিও পাওয়া যাচ্ছে না। ধারনা কেউ ভ্যান ছিনতাই করে আমার ছেলেটাকে মেরে ফেলেছে।

চুন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১২টায় স্থানীয় কয়েকজন গঙ্গাকান্দি মাঠের মাঝখানে এক বাঁশঝাড়ে লাশটি দেখতে পেয়ে আমাকে জানালে আমি থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি। এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ওসি।