ঢাকা ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আটক নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে নিজেই হলেন আটক

এইচএম শাহারীয়ার, পত্নীতলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আটক নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে আটক হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরী। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে তাকে থানা চত্বরে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নজিপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড হরিরামপুর মল্লায় অস্থায়ী নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল কবীর চৌধূরীর ভাই শরিফুল চৌধূরী বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত অন্যরা হলেন- পত্নীতলা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শিহাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নওশাদ আলী, পৌর যুবদলের ১নম্বর যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল কাদের, পৌর বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক ও নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ জেড মিজান এবং পত্নীতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য খোকন হোসেনসহ ৫ জন।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগে খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরীকে ১ নম্বর আসামি করে থানায় মামলা হয়।

মামলার পর রাত ২টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরী আটক নেতাকর্মীদের দেখতে থানায় আসেন। তিনি ওই মামলার আসামি হওয়ায় তাকেও আটক করা হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) নজিপুর পৌরসভা নির্বাচন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের লোকজনই তাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে আমার কর্মীদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সাজানো মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।

ট্যাগস

আটক নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে নিজেই হলেন আটক

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১

এইচএম শাহারীয়ার, পত্নীতলা, নওগাঁ প্রতিনিধিঃ  নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আটক নেতাকর্মীদের দেখতে গিয়ে আটক হলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরী। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেল ৪ টার দিকে তাকে থানা চত্বরে আটক করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) রাতে নজিপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড হরিরামপুর মল্লায় অস্থায়ী নৌকা প্রতীকের দুইটি নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল কবীর চৌধূরীর ভাই শরিফুল চৌধূরী বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা করেন। মামলায় এখন পর্যন্ত খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

আটককৃত অন্যরা হলেন- পত্নীতলা থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও শিহাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নওশাদ আলী, পৌর যুবদলের ১নম্বর যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুল কাদের, পৌর বিএনপির সাবেক দফতর সম্পাদক ও নজিপুর বাসস্ট্যান্ড বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ জেড মিজান এবং পত্নীতলা ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য খোকন হোসেনসহ ৫ জন।

পত্নীতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, নৌকার অস্থায়ী নির্বাচনী ক্যাম্প পোড়ানোর অভিযোগে খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরীকে ১ নম্বর আসামি করে থানায় মামলা হয়।

মামলার পর রাত ২টার দিকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের নওগাঁ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে খাজা নজিবুল্ল্যাহ চৌধুরী আটক নেতাকর্মীদের দেখতে থানায় আসেন। তিনি ওই মামলার আসামি হওয়ায় তাকেও আটক করা হয়েছে।

বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন বলেন, শনিবার (১৬ জানুয়ারি) নজিপুর পৌরসভা নির্বাচন।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের লোকজনই তাদের নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দিয়ে আমার কর্মীদের ওপর দায় চাপাচ্ছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করতে সাজানো মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে।