স্টাফ রিপোর্টার,নওগাঁঃ নওগাঁর মান্দায় জাকিয়া সুলতানা সুমি (১৫) নামে এক নববধূ হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। নিহত সুমির স্বজনদের আয়োজনে শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের যুক্তিরমোড়ে এ মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন নিহত সুমির বাবা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, চাচা আবদুর রশিদ, আরিফ হোসেন, রহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, হাসান আলী, মিল্টন মন্ডল, মেহেদী হাসান, আবদুস সালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মোবাইলফোনে প্রেমের সম্পর্ক ধরে ঘটনার প্রায় চার মাস আগে কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের রাঙ্গামাটিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের মেয়ে জাকিয়া সুলতানা সুমির সঙ্গে একই ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামের ইমরান হোসেন বাবুর ছেলে ওয়াহেদ আলী জয়ের (২২) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবিতে সুমির ওপর নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ শশুর পরিবারের লোকজন।
নিহত সুমির বাবা জাহিদুল ইসলাম জাহিদ অভিযোগ করে বলেন, জামাই জয় মোবাইলফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়ে সুমিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই জামাতা জয় ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে তার ওপর নির্যাতন করে আসছিল।
জের ধরে মেয়ে সুমিকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার পর তার রক্তাক্ত লাশ জানালার গ্রিলে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় স্ত্রী আসমা খাতুন বাদি হয়ে জামাতা জয়সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ দুইজনের নাম বাদ দিয়ে চারজনের নামে মামলা গ্রহণ করে।
ঘটনার প্রায় ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এ মামলার আর কোনো আসামিকে গ্রেফতার করা হয়নি। আসামিরা প্রকাশ্যে থেকে মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান জানান, গৃহবধূ সুমি হত্যার প্রধান আসামি জয়কে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কাজ চলছে। এ ঘটনার জন্য অন্য আসামিরা জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ১১ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলার কাঁশোপাড়া ইউনিয়নের নিজকুলিহার গ্রামে স্বামী জয়ের শয়নঘরের জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় সুমির রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী জয়কে আটকসহ সুমির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।