ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিন দিনের নবজাতকসহ একই পরিবারের ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ সাতজন মারা গেছেন। নিহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।
নিহতরা হলেন-নেত্রকোনা জেলার পুর্বধলা গ্রামের পেচুয়ালেঞ্জী গ্রামের ফারুক হোসেন (৩০), তার স্ত্রী মাসুমা খাতুন (২৩), তাদের তিন দিন বয়সী নবজাতক শিশু, ফারুকের বোন জুলেখা খাতুন, ভাই নিজাম উদ্দিন (৩২) এবং ভাবি জোসনা বেগম।
অটোরিকশা চালকের নাম রাকিবুল হাসান (৩০) বলে জানা গেছে। তিনি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরলক্ষীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
রোববার (৩ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাছতলা বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন দাস বলেন, ‘এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করা সম্ভব হলেও চালক পালিয়ে গেছেন।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’নিহতদের স্বজন মাসুম বলেন, ‘তিন দিন আগে ময়মনসিংহের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে মাসুমা একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন।
আজ সকালে সবাই ওই নবজাতকের বাড়িতে যান। সিএনজিতে করে বাড়িতে ফেরার পথে নবজাতকসহ ঘটনাস্থলেই সবাই মারা যান।’
এ বিষয়ে তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ‘দুপুরের দিকে নেত্রকোনা থেকে ঢাকাগামী হযরত শাহ জালাল পরিবহনের একটি বাস নেত্রকোনাগামী অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার সাতজন মারা যান। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, তিনজন নারী ও এক শিশু রয়েছেন। নিহতের মধ্যে তিন দিন বয়সী নবজাতকসহ একই পরিবারের ছয়জন রয়েছেন। তাদের লাশ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে।’
প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল মিয়া জানান, বাসটি একটি ট্রাক ওভারটেক করার সময় অটোরিকশাটি সামনে চলে আসে। অটোরিকশাটি বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রায় ১০০ গজ দূরে ছেঁচড়ে আসে।
আমরা দৌড়ে গিয়ে দেখি, একজন একটু নড়াচড়া করছে। আর বাকি সবাই মারা গেছেন। ওই একজনকে টেনে বের করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য গাড়িতে তুলতে গিয়ে দেখি তিনিও মারা গেছেন।’