ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনায়: জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বই উৎসব

শিক্ষা ডেক্সঃ  করোনা ভাইরাস জনিত কারণে এবার জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বই উৎসব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তরে তিন দিন এবং মাধ্যমিক স্তরে ১২ দিন বই বিতরণ করা হবে বলে দুই মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

প্রতিবছর দুই মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা আলাদা উৎসব করে ঢাকায় বই বিতরণ করে থাকে। তবে এবার তা হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এরপর দিন থেকে বই দেয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর পাঠ্যপুস্তক ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য তিন দিন করে সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে সপ্তাহে তিন দিন করে মােট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ভিন্ন আঙ্গিকে হওয়ার কারণে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত এবং মাঠ পর্যায়ে তা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলাে। ‘

মাউশির নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল পরিচালক ও উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, বিগত বছরগুলাের ন্যায় এ বছরও ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি হতে প্রাথমিক স্তরের ১ম-৫ম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেয়ার কামসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

কমসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল সহকারী শিক্ষক ও কমচারীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরােধ জানানাে হলাে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সবশেষ প্রজ্ঞাপনের নিদের্শনা অনুযায়ী অসুস্থ সন্তান সম্ভবা শিক্ষক/কর্মচারীগণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা থেকে বিরত থাকতে বলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায়। সলক বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বছরের প্রথম দিন সারা দেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বই উৎসবে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এবার একই দিনে সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব না।

‘প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য আমরা তিন দিন করে সময় দিতে চাইছি। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২ দিনে আমরা বই বিতরণ করব। একেকটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তিন দিনে আসবে। শিক্ষার্থীরা তিন দিনে ভাগে ভাগে এসে বইগুলো নিয়ে যাবেন। ’

ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার প্রাথমিক স্তরে প্রায় তিন কোটি বই বিতরণ করা হবে।

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের তিন দিন বই বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে।

গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। এই এনসিটিবি বই ছাপানোর কাজ করে আসছে।

ট্যাগস

করোনায়: জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বই উৎসব

আপডেট সময় ০১:৫১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

শিক্ষা ডেক্সঃ  করোনা ভাইরাস জনিত কারণে এবার জাঁকজমকভাবে হচ্ছে না বই উৎসব। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রাথমিক স্তরে তিন দিন এবং মাধ্যমিক স্তরে ১২ দিন বই বিতরণ করা হবে বলে দুই মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।

প্রতিবছর দুই মন্ত্রণালয় কেন্দ্রীয়ভাবে আলাদা আলাদা উৎসব করে ঢাকায় বই বিতরণ করে থাকে। তবে এবার তা হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ ডিসেম্বর বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এরপর দিন থেকে বই দেয়া হবে।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২০১১ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাসজনিত কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থী স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে এ বছর পাঠ্যপুস্তক ভিন্ন আঙ্গিকে বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য তিন দিন করে সময় দেওয়া হবে। অর্থাৎ ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত চারটি শ্রেণিতে সপ্তাহে তিন দিন করে মােট ১২ দিনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করতে হবে। প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

‘কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় এবারের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম ভিন্ন আঙ্গিকে হওয়ার কারণে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সকলকে অবহিত এবং মাঠ পর্যায়ে তা যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলাে। ‘

মাউশির নির্দেশনা সব জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল পরিচালক ও উপপরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, অধ্যক্ষ/প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়, বিগত বছরগুলাের ন্যায় এ বছরও ১ জানুয়ারি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি হতে প্রাথমিক স্তরের ১ম-৫ম শ্রেণির শতভাগ শিক্ষার্থীর মাঝে নতুন বই তুলে দেয়ার কামসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

কমসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ সকল সহকারী শিক্ষক ও কমচারীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য অনুরােধ জানানাে হলাে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত সবশেষ প্রজ্ঞাপনের নিদের্শনা অনুযায়ী অসুস্থ সন্তান সম্ভবা শিক্ষক/কর্মচারীগণ বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা থেকে বিরত থাকতে বলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনায়। সলক বিভাগীয় উপপরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) অনলাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বছরের প্রথম দিন সারা দেশে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বই উৎসবে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি ও নিরাপত্তার কথা ভেবে এবার একই দিনে সব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেব না।

‘প্রতিটি শ্রেণির বই বিতরণের জন্য আমরা তিন দিন করে সময় দিতে চাইছি। অর্থাৎ ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মোট ১২ দিনে আমরা বই বিতরণ করব। একেকটি ক্লাসের শিক্ষার্থীরা তিন দিনে আসবে। শিক্ষার্থীরা তিন দিনে ভাগে ভাগে এসে বইগুলো নিয়ে যাবেন। ’

ওই সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এবার প্রাথমিক স্তরে প্রায় তিন কোটি বই বিতরণ করা হবে।

প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের তিন দিন বই বিতরণ করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিন উৎসব করে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে।

গত ১১ বছরে ৩৬৬ কোটি ৮৭ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৬টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে বলে জানায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড-এনসিটিবি। এই এনসিটিবি বই ছাপানোর কাজ করে আসছে।