ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

প্রথম মহাকাশে কাঠের স্যাটেলাইট পাঠাবে জাপান!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পৃথিবী থেকে অধিক পরিমাণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে মহাকাশে। এর ফলে ক্রমশ জটিল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব স্যাটেলাইট বাতাসে অ্যালুমিনা পার্টিক্যাল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।  

এজন্য জাপানের বেসরকারি সংস্থা সুমিতোমো ফরেস্ট্রি এবং কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বিশ্বের প্রথম কাঠের স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সুমিতোমো ফরেস্ট্রি নামে বেসরকারি সংস্থাটি জানাচ্ছে, তারা গাছের বৃদ্ধি এবং মহাকাশে কাঠের উপকরণ ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে।

দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পৃথিবী গ্রহের চরম পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের কাঠ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। ইতোমধ্যে মহাকাশে বিপুল পরিমাণে আবর্জনা জমে গেছে, যেটিকে বলা হয় স্পেস জাঙ্ক।  অপরদিকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণও থেমে নেই। ফলে এই স্পেস জাঙ্ক বড় সমস্যা হয়ে উঠছে।

কাঠ দিয়ে স্যাটেলাইট তৈরি সম্ভব হলে স্পেস জাঙ্ক অনেকখানি হ্রাস করা সম্ভব হবে। কারণ একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এছাড়া এটি বায়ুমণ্ডলে কোনো আবর্জনার অবশেষে রাখবে না।

প্রায় ৪শ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত সুমিতোমো গ্রুপের অংশ সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কাঠ দিয়ে এমন একটি বস্তু তৈরির চেষ্টা করছেন যা তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং সূর্যের তীব্র আলোতে অক্ষত থাকতে পারবে।

কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাপানি নভোচারী তাকাও দোই বলেন, আমরা সত্যিই খুব উদ্বিগ্ন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় স্যাটেলাইটগুলো যখন বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে তখন ক্ষুদ্র অ্যালুমিনা কণা তৈরি হয়। এই কণাগুলো বহু বছর বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে ভাসতে থাকে। অবশেষে এটি পৃথিবীর পরিবেশকে প্রভাবিত করে।

কাঠের স্যাটেলাইটের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ হবে স্যাটেলাইটের ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল তৈরি, এরপরে আমরা ফ্লাইট মডেল তৈরি করবো।

অধ্যাপক দোই নভোচারী হিসেবে ২০০৮ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) গিয়েছিলেন। এই মিশনের সময় তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাশূন্যে একটি বুমেরাং নিক্ষেপ করেন, যা মূলত মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

প্রথম মহাকাশে কাঠের স্যাটেলাইট পাঠাবে জাপান!

আপডেট সময় ০১:১৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পৃথিবী থেকে অধিক পরিমাণে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে মহাকাশে। এর ফলে ক্রমশ জটিল অবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে। এসব স্যাটেলাইট বাতাসে অ্যালুমিনা পার্টিক্যাল ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।  

এজন্য জাপানের বেসরকারি সংস্থা সুমিতোমো ফরেস্ট্রি এবং কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে বিশ্বের প্রথম কাঠের স্যাটেলাইট (কৃত্রিম উপগ্রহ) বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে স্যাটেলাইটটি মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।

সুমিতোমো ফরেস্ট্রি নামে বেসরকারি সংস্থাটি জানাচ্ছে, তারা গাছের বৃদ্ধি এবং মহাকাশে কাঠের উপকরণ ব্যবহারের সম্ভাব্যতা নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে।

দুই প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে পৃথিবী গ্রহের চরম পরিবেশে বিভিন্ন ধরনের কাঠ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। ইতোমধ্যে মহাকাশে বিপুল পরিমাণে আবর্জনা জমে গেছে, যেটিকে বলা হয় স্পেস জাঙ্ক।  অপরদিকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণও থেমে নেই। ফলে এই স্পেস জাঙ্ক বড় সমস্যা হয়ে উঠছে।

কাঠ দিয়ে স্যাটেলাইট তৈরি সম্ভব হলে স্পেস জাঙ্ক অনেকখানি হ্রাস করা সম্ভব হবে। কারণ একটি স্যাটেলাইট পৃথিবীতে ফিরে আসার সময় বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার কয়েক মুহূর্তের মধ্যে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এছাড়া এটি বায়ুমণ্ডলে কোনো আবর্জনার অবশেষে রাখবে না।

প্রায় ৪শ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত সুমিতোমো গ্রুপের অংশ সুমিতোমো ফরেস্ট্রি। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা কাঠ দিয়ে এমন একটি বস্তু তৈরির চেষ্টা করছেন যা তাপমাত্রার পরিবর্তন এবং সূর্যের তীব্র আলোতে অক্ষত থাকতে পারবে।

কিয়োতো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জাপানি নভোচারী তাকাও দোই বলেন, আমরা সত্যিই খুব উদ্বিগ্ন, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করার সময় স্যাটেলাইটগুলো যখন বাতাসের সঙ্গে সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে তখন ক্ষুদ্র অ্যালুমিনা কণা তৈরি হয়। এই কণাগুলো বহু বছর বায়ুমণ্ডলের ওপরের স্তরে ভাসতে থাকে। অবশেষে এটি পৃথিবীর পরিবেশকে প্রভাবিত করে।

কাঠের স্যাটেলাইটের ব্যাপারে তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ হবে স্যাটেলাইটের ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল তৈরি, এরপরে আমরা ফ্লাইট মডেল তৈরি করবো।

অধ্যাপক দোই নভোচারী হিসেবে ২০০৮ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে (আইএসএস) গিয়েছিলেন। এই মিশনের সময় তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মহাশূন্যে একটি বুমেরাং নিক্ষেপ করেন, যা মূলত মাইক্রোগ্র্যাভিটিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হয়েছিল।