ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

নওগাঁর বদলগাছিতে কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান জাহাঙ্গীর

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা সদরে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা এবং অভাবনীয় সাফল্য।

তার সৌখিন কবুতরের খামার দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বদলগাছি উপজেলা সদরের জিওল মহল্লার মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ থেকে ৪ বছর আগে তার বাড়িতে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন।

এরই মধ্যে সেই কবুতর থেকে এখন তার একটি পূর্নাঙ্গ খামারে রয়েছে ৫শ’ কবুতর। সিরাজী, লাক্কা, বিউটি, ম্যাকপাই, জার্মানী শীল, লালচিলা, হাউজ প্রিজন, বারামবাগ, ময়নাকাড়ি, কালো বেরিয়ার, হলুদ বার্ক হোমার, বাগদাদ, ককা, আউল, হলুদ সিরাজী, কালো সিরাজী, লাল সিরাজীসহ প্রায় একশ জাতের দামি দামি কবুতর রয়েছে তার খামারে।

বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় এসব কবুতর শোভা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্ন রকমের ডাকে মুখরিত হয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই এসব কবুতরের ডাক শোনা যাবে।

কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় সদ্য প্রস্ফূটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় বেড়ে উঠা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। মা কবুতর নিজেদের খাবার পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত।

মায়ের মমতায় ভরা এ এক অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩০হাজার টাকা আয় করছেন এই খামারি।

খামারি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, প্রতিদিন গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি খাবার হিসেবে দেয়া হয় এসব কবুতরকে। আর খাবার দিয়ে নানাভাবে পরিচর্যা করে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাচ্ছে খামারির কলেজপড়ুয়া ছেলে। এ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তার স্ত্রীও।

প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কবুতরপ্রেমীরা এই খামার দেখতে আসেন। দেখে খুশি হন। এমন কি এই খামারের লাভের কথা শুনে নিজেরাও খামার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে খাকেন অনেকেই।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন কবুতরপ্রেমীরা এই খামারে কবুতর ক্রয় করতে আসেন। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তা তাঁর এই কবুতরের খামার থেকে বাচ্চা এবং বড় কবুতর ক্রয় করে থাকেন। এই খামার থেকে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক জোড়া কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেছেন, এসব সৌখিন কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কবুতর পালন করে যে কারও সংসার নির্বাহ করা সম্ভব। তিনি বলেন, যারা এসব খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত প্রাণীসম্পদ বিভাগ।

হাঁসমুরগীর খামারের মত এসব সৌখিন কবুতরের খামার গড়ে তুলে একদিকে যেমন শখ মেটানো এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

ট্যাগস

রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ

নওগাঁর বদলগাছিতে কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান জাহাঙ্গীর

আপডেট সময় ০৬:৩৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ : নওগাঁর বদলগাছি উপজেলা সদরে মো. জাহাঙ্গীর আলম নামের এক ব্যক্তি বাণিজ্যিকভাবে সৌখিন কবুতর পালন করে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হয়েছেন। সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা এবং অভাবনীয় সাফল্য।

তার সৌখিন কবুতরের খামার দেখে অনেকেই এমন খামার গড়ে তুলতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। বদলগাছি উপজেলা সদরের জিওল মহল্লার মো. জাহাঙ্গীর আলম আজ থেকে ৪ বছর আগে তার বাড়িতে মাত্র ৫টি সৌখিন কবুতর নিয়ে শুরু করেন কবুতর পালন।

এরই মধ্যে সেই কবুতর থেকে এখন তার একটি পূর্নাঙ্গ খামারে রয়েছে ৫শ’ কবুতর। সিরাজী, লাক্কা, বিউটি, ম্যাকপাই, জার্মানী শীল, লালচিলা, হাউজ প্রিজন, বারামবাগ, ময়নাকাড়ি, কালো বেরিয়ার, হলুদ বার্ক হোমার, বাগদাদ, ককা, আউল, হলুদ সিরাজী, কালো সিরাজী, লাল সিরাজীসহ প্রায় একশ জাতের দামি দামি কবুতর রয়েছে তার খামারে।

বাড়ির দু’টি ঘরে সারি সারি খাঁচা। মোট একশটি খাঁচায় এসব কবুতর শোভা পাচ্ছে। কবুতরের বিভিন্ন রকমের ডাকে মুখরিত হয়ে রয়েছে পুরো বাড়ি। বাড়ির কাছাকাছি গেলেই এসব কবুতরের ডাক শোনা যাবে।

কোন খাঁচায় ডিম, কোন খাঁচায় সদ্য প্রস্ফূটিত বাচ্চা আবার কোন খাঁচায় বেড়ে উঠা বাচ্চা দেখা যাচ্ছে। মা কবুতর নিজেদের খাবার পাশাপাশি বাচ্চাদের খাওয়াতে ব্যস্ত।

মায়ের মমতায় ভরা এ এক অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য। খামারটি এখন বেশ লাভজনক। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৩০হাজার টাকা আয় করছেন এই খামারি।

খামারি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, প্রতিদিন গম, ভুট্টা, হিন্টি, সরিষা, মসুর ইত্যাদি খাবার হিসেবে দেয়া হয় এসব কবুতরকে। আর খাবার দিয়ে নানাভাবে পরিচর্যা করে পড়াশুনার ফাঁকে ফাঁকে সময় কাটাচ্ছে খামারির কলেজপড়ুয়া ছেলে। এ কাজে সহযোগিতা দিয়ে আসছেন তার স্ত্রীও।

প্রতিবেশীসহ এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে কবুতরপ্রেমীরা এই খামার দেখতে আসেন। দেখে খুশি হন। এমন কি এই খামারের লাভের কথা শুনে নিজেরাও খামার গড়তে আগ্রহ প্রকাশ করে খাকেন অনেকেই।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সৌখিন কবুতরপ্রেমীরা এই খামারে কবুতর ক্রয় করতে আসেন। পুলিশ বিভাগের অনেক কর্মকর্তা তাঁর এই কবুতরের খামার থেকে বাচ্চা এবং বড় কবুতর ক্রয় করে থাকেন। এই খামার থেকে ১০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক জোড়া কবুতর বিক্রি হয়ে থাকে।

জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো. মহির উদ্দিন বলেছেন, এসব সৌখিন কবুতর পালন অত্যন্ত লাভজনক। কবুতর পালন করে যে কারও সংসার নির্বাহ করা সম্ভব। তিনি বলেন, যারা এসব খামার গড়ে তুলতে আগ্রহী তাদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদানসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করতে প্রস্তুত প্রাণীসম্পদ বিভাগ।

হাঁসমুরগীর খামারের মত এসব সৌখিন কবুতরের খামার গড়ে তুলে একদিকে যেমন শখ মেটানো এবং পাশাপাশি আর্থিকভাবেও লাভবান হওয়া সম্ভব বলে প্রতীয়মান হয়েছে।