ঢাকা ১০:১৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

ত্রিপুরার কফি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে

স্টাফ রিপোর্টারঃ চায়ের পাশাপাশি কফি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা পণ্য হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিমত কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার।

কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার অসীম কর জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে।হেক্টর হিসাবে মোট ৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এসব বাগান।

এগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং এসবের যারা মালিক তারা ক্ষুদ্র কফি চাষি। তাদের এক হেক্টর বা তারও বেশি জায়গা জুড়ে বাগান রয়েছে। তবে কফি চাষীদের চারাগাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা সব কিছু করে থাকে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়া।

তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের বোর্ডের অফিসটি রয়েছে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকায়। এখান থেকে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কফি বাগানের কাজ কর্ম পরিচালনা করা হয়।

এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০০ হেক্টর জমির বাগান থেকে কফি উৎপাদিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ উৎপাদন হচ্ছে উত্তর জেলার জম্পুই পাহাড় ও দক্ষিণ জেলার রূপাইছড়ি এলাকার বাগানগুলো থেকে।

কফি দুই ধরনের রয়েছে। এগুলো হলো- অ্যারাভিকা এবং রোভাস্টা। ত্রিপুরা রাজ্যে দুই ভ্যারাইটির কফিই চাষ হচ্ছে। অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়।

ত্রিপুরা জম্পুই পাহাড় এই ধরনের কফি চাষের জন্য উপযুক্ত ও এখানে এই জাতের কফির ফলন হচ্ছে। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা প্রজাতির কফি, যোগ করেন তিনি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, এবছর সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপাদিত হয়েছে রাজ্যের বাগানগুলো থেকে।

এই রাজ্যে উৎপাদিত কফি অন্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ জেলায় উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরার রূপাইছড়ি এলাকার কফি কিনে নিচ্ছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন কফির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানে কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করে তবে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৫০ মেট্রিক টন কফির প্রয়োজন হয় বছরে। তবে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ কফি উৎপাদিত হবে।

ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর হচ্ছে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার নোডাল এজেন্সি। তাই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব হচ্ছেন, কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সদস্য। ফলে কফি চাষিদের কথা চিন্তা করে আগামী দিনে রাজ্যে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতেই পারে রাজ্য সরকার।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ত্রিপুরার কফি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে পাড়ি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে

আপডেট সময় ১১:৪১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ চায়ের পাশাপাশি কফি ত্রিপুরা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় ও লাভজনক বাগিচা পণ্য হয়ে উঠছে, এমনটাই অভিমত কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার।

কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সটেনশন অফিসার অসীম কর জানান, ত্রিপুরা রাজ্যে বর্তমানে মোট ৪৯৮টি কফি বাগান রয়েছে।হেক্টর হিসাবে মোট ৪০০ হেক্টর জায়গা জুড়ে এসব বাগান।

এগুলো ব্যক্তি মালিকানাধীন এবং এসবের যারা মালিক তারা ক্ষুদ্র কফি চাষি। তাদের এক হেক্টর বা তারও বেশি জায়গা জুড়ে বাগান রয়েছে। তবে কফি চাষীদের চারাগাছ লাগিয়ে বাগান তৈরি, প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে আর্থিক সহায়তা সব কিছু করে থাকে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়া।

তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা রাজ্যের বোর্ডের অফিসটি রয়েছে ঊনকোটি জেলার কুমারঘাট এলাকায়। এখান থেকে সারা রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কফি বাগানের কাজ কর্ম পরিচালনা করা হয়।

এই বাগানগুলোর মধ্যে ২০০ হেক্টর জমির বাগান থেকে কফি উৎপাদিত হচ্ছে। এর বেশির ভাগ উৎপাদন হচ্ছে উত্তর জেলার জম্পুই পাহাড় ও দক্ষিণ জেলার রূপাইছড়ি এলাকার বাগানগুলো থেকে।

কফি দুই ধরনের রয়েছে। এগুলো হলো- অ্যারাভিকা এবং রোভাস্টা। ত্রিপুরা রাজ্যে দুই ভ্যারাইটির কফিই চাষ হচ্ছে। অ্যারাভিকা মূলত উঁচু ও অপেক্ষাকৃত শীতল জায়গায় চাষ হয়।

ত্রিপুরা জম্পুই পাহাড় এই ধরনের কফি চাষের জন্য উপযুক্ত ও এখানে এই জাতের কফির ফলন হচ্ছে। আর রাজ্যের বাকি এলাকায় চাষ হচ্ছে রোভাস্টা প্রজাতির কফি, যোগ করেন তিনি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, এবছর সব মিলিয়ে প্রায় ২০ মেট্রিক টন কফি উৎপাদিত হয়েছে রাজ্যের বাগানগুলো থেকে।

এই রাজ্যে উৎপাদিত কফি অন্য রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে এবং দক্ষিণ জেলায় উৎপাদিত কফি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছে। চট্টগ্রামের এক ব্যবসায়ী বর্তমানে ইংল্যান্ডে রয়েছেন। তিনি প্রতি বছর ত্রিপুরার রূপাইছড়ি এলাকার কফি কিনে নিচ্ছেন।

ত্রিপুরা রাজ্যে দিন দিন কফির উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এখানে কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র স্থাপনের কোনো পরিকল্পনা আছে কি? এর উত্তরে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করে তবে চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

তবে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রের জন্য ন্যূনতম ৫০ মেট্রিক টন কফির প্রয়োজন হয় বছরে। তবে খুব দ্রুত ত্রিপুরা রাজ্য এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ কফি উৎপাদিত হবে।

ত্রিপুরা সরকারের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তর হচ্ছে কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার নোডাল এজেন্সি। তাই শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব হচ্ছেন, কফি বোর্ড অব ইন্ডিয়ার সদস্য। ফলে কফি চাষিদের কথা চিন্তা করে আগামী দিনে রাজ্যে একটি কফি প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু করতেই পারে রাজ্য সরকার।