এই মানসিক অবসাদ শুরু হচ্ছে করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯০ দিন পর থেকে। অর্থাৎ শরীরে করোনা ধরা পড়ার পর তিন মাস পর থেকে বিশেষ কিছু লক্ষণ দেখা যায়। তা হল নিদ্রাহীনতা, আতঙ্ক, অবসাদ। তবে চিকিৎসকেরা বিশেষ জোর দিয়েছেন ডিমেনশিয়ার ওপরে। অর্থাৎ ভুলে যাওয়ার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কেউ কেউ।
তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯ মিলিয়ন মানুষ মানসিক অবসাদে ভোগেন। তাদের মধ্যে ৬২ হাজার মানুষ করোনা পরবর্তী মানসিক রোগে আক্রান্ত। এই রোগ থেকে কীভাবে মুক্তি দেওয়া যায়, তার জন্য নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা আগে থেকেই মানসিক অবসাদের শিকার, তারা করোনায় আক্রান্ত হলে, তাদের মানসিক রোগ বেশি মাত্রায় ধরা পড়ছে। প্রায় ৬৫ শতাংশ সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে।
কোনও কোনও চিকিৎসক এবং গবেষক মনে করছেন, কোভিড-১৯ শুধুমাত্র ফুসফুস বা শরীরের নানা অংশে ছড়াচ্ছে না। মস্তিষ্কেও ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। তাই কোভিড আক্রান্তদের জন্য শুধু করোনা মুক্তিটাই আসল লক্ষ্য নয়। তাদের মানসিক ভারসাম্য রক্ষার দিকেও লক্ষ্য রাখা উচিত।