স্টাফ রিপোর্টার, নওগাঁঃ নওগাঁর মান্দায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা-মেয়ে ফিল্মিষ্টাইলে হামলা চালিয়ে কসমেটিকসের একটি দোকান ভাঙ্চুর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দেশিয় অস্ত্র নিয়ে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জোতবাজার চৌরাস্তার মোড়ের অদুরে পুজা কসমেটিকসের দোকানে তান্ডব চালিয়েছেন তারা।
হামলাকারী নারীরা দোকানের আসবাবপত্রসহ বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস সামগ্রীর ক্ষতিসাধন করে। এ সময় তাদের হামলা থেকে বাঁচতে দোকান মালিকের স্ত্রী প্রীতি রানী হালদার পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়ে রক্ষা পান।
স্থানীয়রা জানান, জোতবাজার চৌরাস্তার মোড়ের অদুরে প্রদীপ চন্দ্র হালদারের ‘পুজা কসমেটিকস’ নামে একটি দোকান রয়েছে। দোকান সংলগ্ন জায়গায় আবদুল গফুর নামে একব্যক্তি ভবন নির্মাণের কাজ করছেন।
নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত নোংরা পানি ও অন্যান্য ময়লা পড়ে দোকানের মালামাল নষ্ট হচ্ছে এমন অভিযোগ করে আসছিলেন দোকান মালিক প্রদীপ।
কিন্তু ভবন মালিক আবদুল গফুর তাতে কর্ণপাত না করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন। এনিয়ে শনিবার সকালে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে আবদুল গফুর ইট দিয়ে প্রদীপ হালদারের মাথায় আঘাত করলে তিনি গুরুতর জখম হন।
তাকে উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে দেন স্থানীয়রা। এ ঘটনার কিছু পরে আবদুল গফুরের স্ত্রী শাহিনুর আক্তার ও মেয়ে তৃষা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ওই কসমেটিকসের দোকানে হামলা চালান।
স্থানীয়দের দাবি, দুই নারী ফিল্মিষ্টাইলে দোকানটিতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্চুর করে। এ সময় প্রদীপ হালদারের স্ত্রী প্রীতি রানী হালদার নিজ দোকান ছেড়ে পালিয়ে পাশের একটি দোকানে আশ্রয় নেন।
চিকিৎসাধীন প্রদীপ হালদার জানান, হামলাকারীরা আমার দোকানের থাই অ্যালুমিনিয়ামের দুইটি দরজা ও বিপুল পরিমান কসমেটিকস সামগ্রী ভেঙে নষ্ট করে দিয়েছে। তারা দোকানের ক্যাশড্রয়ার ভেঙে ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে মান্দা থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা দায়ের করেননি। এজাহার পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।