ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায় Logo প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলেন Logo গুলি ও ভারতীয় শাড়িসহ ডিবি পুলিশের ২ কনস্টেবল গ্রেফতার Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের কর্মসূচি ঘোষণা Logo আয়নাঘরেই আটকে রাখা হয়েছিল, চিনতে পারলেন নাহিদ ও আসিফ Logo চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে টাইগারদের অফিসিয়াল ফটোসেশন Logo দেশ ক্ষমতা ধরে রাখতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নৃশংস হত্যাকাণ্ড: জাতিসংঘ Logo গণমাধ্যম ও ভুক্তভোগী দের সঙ্গে নিয়ে আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা Logo হত্যা মামলায় নওগাঁর ৫ চেয়ারম্যান সহ ৯ আওয়ামীলীগ নেতা কারাগারে Logo নওগাঁর পত্নীতলায় শেষ সময়ে বোরো চাষে ব্যস্ত চাষিরা

স্বচ্ছতার নজির তৈরি করলেন চেয়ারম্যান মুকুল

চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম নিজে উপস্থিত থেকে লটারী বক্সে চির কুট ঢোকান

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য ভাতা কার্ড পেয়েছেন  ।  এক কালীন ১২ হাজার টাকা  সহ ৩ দফায় মোট ২৮ হাজার টাকা করে এসব নারী পাবেন । ৪৩ হাজার বাসিন্দার এ  ইউনিয়নে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর । কম বেশি   ১ হাজার  প্রসুতি নারী রয়েছে এ ইউনিয়নে  । যাদের মধ্যে নেহায়েত অসচ্ছল রয়েছে  ৫শ অধিক । 

যে কোন ভাতা কার্ডের অসিম চাহিদা থাকবে তা আর বলার দরকার পড়ে না । ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার ৯ নং ইউনিয়ন চন্ডিপুর । চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বেদারুল ইসলাম মুকুল । দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ কে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে বিরামহীন কাজ করছেন তিনি ।

জনমুখে তার বেশ সু খ্যাতি উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজের জন্য । সব কাজ কে তিনি নিষ্টা আর সততার প্যারা মিটার দিয়ে করার কারণে কিছু লোকের বিরাগ ভাজন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । কাজ  আর সততার সাথে আপোস নেই তার কাছে । কথা আর কাজের মাঝে কোন ফারাক না রেখেই পরিচালনা করছেন ইউনিয়ন পরিষদ । দরিদ্র মানুষের জন্য যে বরাদ্দ  উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে সবার আগে তিনি মাইকিং জানিয়ে  ইউনিয়ন বাসীকে ।  এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তার বরাদ্দের বার্তা ।

বাক্স থেকে তোলা নাম ঘোষনা করা হয়

ইউনিয়নের ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন । সে বরাদ্দ প্রকৃত উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে এবারো একই পথ বেঁচে নেন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । সাড়া ইউনিয়ন জুড়ে ৩ দিন ধরে মাইকিং করে ঘোষনা দেন সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সদ্য ভুমিষ্ট অথবা গর্ভ বতী নারীরা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আইডি কার্ডের ছবি ইউনিয়ন পরিষদের বাক্সে জমা দিবেন । এ আহবানে ৩৮৫ নারীর আবেদন জমা পড়ে বাক্সে । এর মধ্যে নীতিমালার মধ্যে না পড়ায় যাচাই শেষে প্রকৃত উপকার ভুগী  ৯৯ জন নারীর তালিকা করা হয় ।

 

চোঁখ বাঁধা অবস্থায় বাক্স থেকে কাগজ তোলা হয় ।

এ তালিকার নাম দিয়ে চির কুট তৈরি করে বাক্সে ফেলা হয় । এর পর লটারীর আয়োজন । রোববার দুপুর ১২ টায় ইউনিয়নে পরিষদ ভবনে বিপুল মানুষের সমাগমে চলে প্রকাশ্য এ লটারীর আয়োজন । 

অপেক্ষ মান নারী ও পুরুষের সামনে বাক্স থেকে একে একে কাগজ তুলেন চোঁখ বন্ধ করা এক ব্যাক্তি । লটারীতে যাদের নাম উঠে ৯ টি ইউনিয়নের মোট ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ্য দেখান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল ।

উপস্থিত নারী ও পুরুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এমন স্বচ্ছতার ভুয়সা প্রসংশা শুনতে পাওয়া যায় । ইউনিয়নের গংগা পাড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম, উত্তর পাড়া দুলাল হোসেন এবং শিমুলিয়া এলাকার মালেক মন্ডল বলেন,  অত্যান্ত সত মানুষের পক্ষেই এমন নজির তৈরি করা সম্ভব যা চেয়ারম্যান করে দেখালেন ।  তিনি আপন পর বা স্বার্থে উর্দ্ধে সব কাজ করে যা আজও অনন্য নজির দেখালেন ।

গাংজোয়ার এলাকার নিপা বানু । তার নাম লটারীতে উঠেছে । তিনি বলেন,  আমি শুধু মাত্র একটি আইডি কার্ড বাক্সে জমা দিয়েছি । তার পর ভাগ্যর উপর ভর করে আজ এখানে এসেছি । তবে লটারীতে নাম উঠায় শুকরিয়া জ্ঞাপন করি । সে সাথে সত ও নিষ্টাবান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম সাহেবের জন্য দোয়া করি তিনি যেন এমন সততার সাথে চলতে পারেন ।

ওই ইউনিয়নের আরেক নারী সম্পা আক্তার বলেন আমিও নাম দিয়েছিলাম । তবে লটারীতে উঠেনি । এতে আমার দু:খ নেই । কারণ অত্যান্ত সততার সাথে ভাতা কার্ড  দেওয়া হয়েছে এটাই আমার কাছে আনন্দের । বিগত দিনে এসব ভাতা কার্ড বা কোন সুফল আমরা জানতে পারতাম না । এখন সব কিছু জানতে পারি আর যারা হকদার তারা পাচ্ছে এটাই বড় আনন্দের যোগ করে বলেন নিপা ।

চেয়ারমান বেদারুল ইসলাম বলেন, জন নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার যথা যোগ্য পালন করতে চেষ্টা করছি মাত্র । এখানে প্রকৃত হকদারকে তার নায্য হক বুঝে দিতে পারলে জাতীর জনক ও তার কন্যার স্বপ্ন পুরণ হবে । আর সে স্বপ্ন পুরণে আমার মতো ছোট মানুষ সততার সাথে চেষ্টা করছি ।

ট্যাগস

পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র সমর্থকেরা বিক্ষোভকারীদের ওপর সমন্বিত হামলা চালায়

স্বচ্ছতার নজির তৈরি করলেন চেয়ারম্যান মুকুল

আপডেট সময় ০৮:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য ভাতা কার্ড পেয়েছেন  ।  এক কালীন ১২ হাজার টাকা  সহ ৩ দফায় মোট ২৮ হাজার টাকা করে এসব নারী পাবেন । ৪৩ হাজার বাসিন্দার এ  ইউনিয়নে নওগাঁ সদর উপজেলার চন্ডিপুর । কম বেশি   ১ হাজার  প্রসুতি নারী রয়েছে এ ইউনিয়নে  । যাদের মধ্যে নেহায়েত অসচ্ছল রয়েছে  ৫শ অধিক । 

যে কোন ভাতা কার্ডের অসিম চাহিদা থাকবে তা আর বলার দরকার পড়ে না । ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে নওগাঁ সদর উপজেলার ৯ নং ইউনিয়ন চন্ডিপুর । চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন বেদারুল ইসলাম মুকুল । দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ইউনিয়ন পরিষদ কে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসাবে গড়ে তুলতে বিরামহীন কাজ করছেন তিনি ।

জনমুখে তার বেশ সু খ্যাতি উল্লেখ যোগ্য কিছু কাজের জন্য । সব কাজ কে তিনি নিষ্টা আর সততার প্যারা মিটার দিয়ে করার কারণে কিছু লোকের বিরাগ ভাজন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । কাজ  আর সততার সাথে আপোস নেই তার কাছে । কথা আর কাজের মাঝে কোন ফারাক না রেখেই পরিচালনা করছেন ইউনিয়ন পরিষদ । দরিদ্র মানুষের জন্য যে বরাদ্দ  উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে সবার আগে তিনি মাইকিং জানিয়ে  ইউনিয়ন বাসীকে ।  এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন তার বরাদ্দের বার্তা ।

বাক্স থেকে তোলা নাম ঘোষনা করা হয়

ইউনিয়নের ৫০ জন প্রসূতি নারীর জন্য বরাদ্দ পেয়েছেন । সে বরাদ্দ প্রকৃত উপকার ভুগীর কাছে পৌছে দিতে এবারো একই পথ বেঁচে নেন চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম । সাড়া ইউনিয়ন জুড়ে ৩ দিন ধরে মাইকিং করে ঘোষনা দেন সরকারী নিয়ম অনুযায়ী সদ্য ভুমিষ্ট অথবা গর্ভ বতী নারীরা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তাদের আইডি কার্ডের ছবি ইউনিয়ন পরিষদের বাক্সে জমা দিবেন । এ আহবানে ৩৮৫ নারীর আবেদন জমা পড়ে বাক্সে । এর মধ্যে নীতিমালার মধ্যে না পড়ায় যাচাই শেষে প্রকৃত উপকার ভুগী  ৯৯ জন নারীর তালিকা করা হয় ।

 

চোঁখ বাঁধা অবস্থায় বাক্স থেকে কাগজ তোলা হয় ।

এ তালিকার নাম দিয়ে চির কুট তৈরি করে বাক্সে ফেলা হয় । এর পর লটারীর আয়োজন । রোববার দুপুর ১২ টায় ইউনিয়নে পরিষদ ভবনে বিপুল মানুষের সমাগমে চলে প্রকাশ্য এ লটারীর আয়োজন । 

অপেক্ষ মান নারী ও পুরুষের সামনে বাক্স থেকে একে একে কাগজ তুলেন চোঁখ বন্ধ করা এক ব্যাক্তি । লটারীতে যাদের নাম উঠে ৯ টি ইউনিয়নের মোট ৫০ জনের নামের তালিকা প্রকাশ্য দেখান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম মুকুল ।

উপস্থিত নারী ও পুরুষের মাঝে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা এমন স্বচ্ছতার ভুয়সা প্রসংশা শুনতে পাওয়া যায় । ইউনিয়নের গংগা পাড়া এলাকার জহুরুল ইসলাম, উত্তর পাড়া দুলাল হোসেন এবং শিমুলিয়া এলাকার মালেক মন্ডল বলেন,  অত্যান্ত সত মানুষের পক্ষেই এমন নজির তৈরি করা সম্ভব যা চেয়ারম্যান করে দেখালেন ।  তিনি আপন পর বা স্বার্থে উর্দ্ধে সব কাজ করে যা আজও অনন্য নজির দেখালেন ।

গাংজোয়ার এলাকার নিপা বানু । তার নাম লটারীতে উঠেছে । তিনি বলেন,  আমি শুধু মাত্র একটি আইডি কার্ড বাক্সে জমা দিয়েছি । তার পর ভাগ্যর উপর ভর করে আজ এখানে এসেছি । তবে লটারীতে নাম উঠায় শুকরিয়া জ্ঞাপন করি । সে সাথে সত ও নিষ্টাবান চেয়ারম্যান বেদারুল ইসলাম সাহেবের জন্য দোয়া করি তিনি যেন এমন সততার সাথে চলতে পারেন ।

ওই ইউনিয়নের আরেক নারী সম্পা আক্তার বলেন আমিও নাম দিয়েছিলাম । তবে লটারীতে উঠেনি । এতে আমার দু:খ নেই । কারণ অত্যান্ত সততার সাথে ভাতা কার্ড  দেওয়া হয়েছে এটাই আমার কাছে আনন্দের । বিগত দিনে এসব ভাতা কার্ড বা কোন সুফল আমরা জানতে পারতাম না । এখন সব কিছু জানতে পারি আর যারা হকদার তারা পাচ্ছে এটাই বড় আনন্দের যোগ করে বলেন নিপা ।

চেয়ারমান বেদারুল ইসলাম বলেন, জন নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তার যথা যোগ্য পালন করতে চেষ্টা করছি মাত্র । এখানে প্রকৃত হকদারকে তার নায্য হক বুঝে দিতে পারলে জাতীর জনক ও তার কন্যার স্বপ্ন পুরণ হবে । আর সে স্বপ্ন পুরণে আমার মতো ছোট মানুষ সততার সাথে চেষ্টা করছি ।