সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার খলসি গ্রামে একই পরিবারের চারজনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশের অপরাধ অনুসন্ধান বিভাগ-সিআইডি।
রোহমর্ষক এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত নিহত শাহিনুর রহমানের আপন ছোট ভাই রায়হানুল ইসলাম। মূলত পারিবারিক বিরোধের জেরেই পরিকল্পিতভাবে বড় ভাই, ভাবিসহ ভাতিজা-ভাতিজিকে হত্যা করে রায়হানুল।
সিআইডি ইতিমধ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করেছে। বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় হত্যা মামলার রহস্য উন্মোচন নিয়ে সিআইডি সাতক্ষীরা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সিআইডির খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ওমর ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কোমল পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে তার ভাই, ভাবী ও দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে এবং জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
ভাই ও ভাবীর মানসিক নির্যাতনের প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিতভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়। নিহতের ছোট ভাই রাইহানুল ইসলাম পুলিশ রিমান্ডে এ ধরনের স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সিআইডির অতিরিক্ত উপ-মহা পুলিশ পরিদর্শক আরও বলেন, রায়হানুল বেকার জীবনযাপন করত। ভাইয়ের সংসারে বেকার যুবক রাইহানুল ইসলাম প্রতিনিয়ত মানসিক নির্যাতনের শিকার হতো।
এমনকি ভাই ও ভাবি খাওয়ার জন্যও তাকে খোটা দিত। ঘটনার দিন রাতে ভাই তাকে গালিগালাজ করে। যার কারণে রাইহানুল ভাই ও ভাবিকে হত্যার পরিকল্পনা করে। আর তাই কোমল পানীয়ের সাথে চেতনানাশক ঔষধ মিশিয়ে সবাইকে খাওয়ায়।
এরপর রাতে ঠাণ্ডা মাথায় ধারালো চাপাতি দিয়ে আপন ভাই শাহিনুর ইসলামকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করে।
এরপর ভাবি সাবিনা খাতুনকে হত্যা করার সময় তাদের দুই শিশু সন্তানের ঘুম ভেঙে গেলে তাদেরও হত্যা করে রায়হানুল। এ সময় বেঁচে যায় তাদের চার মাস বয়সের শিশু মারিয়া।
প্রসঙ্গত, ১৫ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) ভোর রাতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে মৎস্য হ্যাচারী মালিক শাহিনুর, তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন, ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসনিম সুলতানাকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটে