ঢাকা ০২:১৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভোলায় মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় লুডু খেলার সময় মোবাইল চুরির ঘটনায় চোর অপবাদ দেয়ায় সুরজিৎ চন্দ্র দে (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

মৃত সুরজিৎ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লামছি শম্ভুপুর গ্রামের পুশ চন্দ্র দের ছেলে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ঘটে।

স্থানীয় মো. শামিম ও সাদির হোসেন রাহিম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সুরজিৎ ও স্থানীয় শামিমসহ আরও একজন একই গ্রামের কাছিকাটা এলাকায় লুডু খেলছিল। খেলার কোনো এক সময় শামিমের একটি ওয়াল্টন ফোন চুরি হয়ে যায়।

শামিম তার ফোনের বিষয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলে সবাই অস্বীকার করেন। পরে বিকেলে ৪টার দিকে শামিম গ্রামের এক খনকারের কাছ থেকে চাল পড়া এনে সবাইকে খাওয়ায়।

ওই সময় চাল পড়া সুরজিৎতের গলায় আটকে পড়লে তাকে চোর অপবাদে অপমান করে ফোন দাবি করেন শামিম।

এ অপমান সইতে না পেরে সুরজিৎ বাড়ি গিয়ে সবার অগচরে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্য তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তারা আরও জানান, নিহত সুরজিৎ তার মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে মৃত্যুর কারণ লিখে যায়। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে।

ট্যাগস

ভোলায় মোবাইল চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০১:১১:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় লুডু খেলার সময় মোবাইল চুরির ঘটনায় চোর অপবাদ দেয়ায় সুরজিৎ চন্দ্র দে (২১) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে।

মৃত সুরজিৎ ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের লামছি শম্ভুপুর গ্রামের পুশ চন্দ্র দের ছেলে। মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় ঘটে।

স্থানীয় মো. শামিম ও সাদির হোসেন রাহিম জানান, মঙ্গলবার দুপুরে সুরজিৎ ও স্থানীয় শামিমসহ আরও একজন একই গ্রামের কাছিকাটা এলাকায় লুডু খেলছিল। খেলার কোনো এক সময় শামিমের একটি ওয়াল্টন ফোন চুরি হয়ে যায়।

শামিম তার ফোনের বিষয়ে সবাইকে জিজ্ঞাসা করলে সবাই অস্বীকার করেন। পরে বিকেলে ৪টার দিকে শামিম গ্রামের এক খনকারের কাছ থেকে চাল পড়া এনে সবাইকে খাওয়ায়।

ওই সময় চাল পড়া সুরজিৎতের গলায় আটকে পড়লে তাকে চোর অপবাদে অপমান করে ফোন দাবি করেন শামিম।

এ অপমান সইতে না পেরে সুরজিৎ বাড়ি গিয়ে সবার অগচরে ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেয়। এ সময় তার পরিবারের সদস্য তাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়।

পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তারা আরও জানান, নিহত সুরজিৎ তার মৃত্যুর আগে একটি চিরকুটে মৃত্যুর কারণ লিখে যায়। তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে।