অর্থনীতি-ব্যবসা: করোনাকালে তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন নদীবেষ্টিত বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার এক দম্পতি। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে তরমুজ চাষ করে বাম্পার ফলন ফলাতে সক্ষম হওয়ায় ভালো লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার আন্দারমানিক গ্রামের বাসিন্দা হাসান মাহমুদ সাঈদ ও তার স্ত্রী মোসাম্মৎ তাহমিনা জানান, ২৪ শতাংশ জমিতে ৩৫ হাজার টাকা খরচে বিনিময়ে পাঁচ জাতের তরমুজ চাষ করেন তারা। বিদেশি জাতের এসব তরমুজ চাষ করে এখন প্রায় দুই লাখ টাকা লাভের আশা করছেন দম্পতি।
এদিকে তাদের এ তরমুজের ক্ষেত দেখতে দূর-দুরান্ত থেকে আসছেন অনেকে। যাদের মধ্যে কেউ কেউ অনুপ্রাণিতও হয়ে এভাবে তরমুজ চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন।
হাসান মাহমুদ সাঈদ জানান, তিনি ও তার স্ত্রী শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। শিক্ষকতার পাশাপাশি তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে মাছের চাষ শুরু করেন।
বর্তমানে তার চারটি পুকুর, দু’টি মাছের ঘের ও পোনা উৎপাদনের একটি হ্যাচারি রয়েছে। ঘের ও পুকুরপাড়ে আগে থেকেই বিভিন্ন সবজির চাষ করে আসছেন তিনি।
করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় একজন বীজ ব্যবসায়ীর পরামর্শে গত আষাঢ় মাসে পুকুর পাড়ে সুইট ব্ল্যাক, কার্নিয়া, সোনিয়া, হানিডিউ মেলন (ছাম্মাম) এবং রক মেলন নামে বিদেশি জাতের পাঁচ ধরনের তরমুজের চাষ করেন তিনি।
তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে তরমুজের এমন বাম্পার ফলন হবে তিনি তা আগে ভাবেননি। তারপরও ২৪ শতাংশ জমিতে ৭৫০টি চারা রোপণ করে নিয়মানুযায়ী পরিচর্যা শুরু করেন। চারা রোপণের এক সপ্তাহের মধ্যে ফুল ও ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে ফলন শুরু হয় প্রতিটি গাছে।
উন্নত মানের বীজের কারণে ভালো ফলন সম্ভব বলে জানিয়ে বরিশালের বীজ ব্যবসায়ী এস এম জাকির হোসেন। তিনি জানান, বিদেশি জাতের এ তরমুজ বারোমাসি ফল হওয়ায় মৌসুম শেষে এ ফলের চাষ করলে কম পরিশ্রমে বেশি লাভ করা সম্ভব।
এদিকে সাঈদের সফলতা দেখে স্থানীয় অন্য কৃষকরাও তরমুজ চাষে উৎসাহিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা।