ঢাকা ১২:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

শিক্ষা ডেক্স:  নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস পার হতে চললেও এখনো চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সকল পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রতিষ্ঠান খোলার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

তবে দেরি হলেও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম শেষ করে পরীক্ষা নেয়া উচিত। অন্যথায় শেখা ও জ্ঞান অর্জনে ঘাটতি থেকে গেলে তা পরবর্তী জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

এদিকে করোনাকালে লেখাপড়ার ঘাটতি নিরূপণ করে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ট্যাগস

করোনার রেশ থাকবে আগামী বছরের এসএসসি-এইচএসসিতেও

আপডেট সময় ০১:০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

শিক্ষা ডেক্স:  নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মাস পার হতে চললেও এখনো চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা পিছিয়ে যেতে পারে। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় সকল পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার কারণে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সাধারণত বছরের জুলাই মাসে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী আর অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষা নেয়া হয়। আর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী বা অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা জুলাই-আগস্টে এবং ডিসেম্বরে নির্বাচনী পরীক্ষা হয়। এরপর নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ এবং ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করা হয়। ইতোমধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেছে। আগামী বছরের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের একাদশ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষাও হয়নি। একাদশ শ্রেণিতে কলেজ পর্যায়ে নেয়া বিভিন্ন ক্লাস টেস্ট আর অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এসব শিক্ষার্থীকে ‘অটো পাস’ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘সাধারণত প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি এবং এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা হয়। করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠদান বন্ধ। এ কারণে পরীক্ষা যথাসময়ে শেষ করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তবে প্রতিষ্ঠান খোলার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

তবে দেরি হলেও এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন অভিভাবকরা। এ বিষয়ে অভিভাবক ঐক্য ফোরামের চেয়ারম্যান জিয়াউল কবীর দুলু বলেন, ‘এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যক্রম শেষ করে পরীক্ষা নেয়া উচিত। অন্যথায় শেখা ও জ্ঞান অর্জনে ঘাটতি থেকে গেলে তা পরবর্তী জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

এদিকে করোনাকালে লেখাপড়ার ঘাটতি নিরূপণ করে ডিসেম্বরের মধ্যে শিক্ষাবর্ষ শেষ করার লক্ষ্যে কৌশল নির্ধারণ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করার প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রণালয়।