ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo নওগাঁয় ফজলুর রহমান হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন Logo জন্মসূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ আটকে দিলেন আদালত Logo বগুড়ায় ৫০ টাকা অফারে টি-শার্ট কিনতে হাজারো মানুষের ঢল, নিয়ন্ত্রণ নিতে সেনাবাহিনী Logo শেখ হাসিনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালালে ভারতকে দায় নিতে হবে: তথ্য উপদেষ্টা Logo নতুন দুই বিভাগ ও দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাব সংস্কার কমিশনের Logo নওগাঁ সীমান্ত থেকে ১ যুবককে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Logo গাজীপুরে পিকআপভ্যান খাদে পড়ে তিন জন নিহত Logo নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়িয়ে গাজা দখলের ঘোষণা দিলেন ট্রাম্প Logo মাকে মারধর করছিল ছেলে, শাসন করতে গিয়ে মামা খুন Logo পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সেই আ. লীগ নেতা গ্রেফতার

বন্যা ও জলাবদ্ধতায় নওগাঁয় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে না

নওগাঁর আত্রাইয়ে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি

কৃষি  ডেস্কঃ অতিবর্ষণ ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩ বারের বন্যার পানিতে নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়েছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমের আমন চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় আমনের চারা উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা  আমন ধানের চারা সংকটে ভুগছেন।

উপজেলার শাহাগোলা, কালিকাপুর, কাশিমপুর, ভোঁপাড়া, জামগ্রাম, মনিয়ারী, নওদুলী, পালশা, চৌথলসহ পূর্ব এলাকার মাঠগুলো আমন চাষের জন্য বিখ্যাত।

এসব এলাকার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলার পর পরই আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এলাকা জুড়ে চিনি আতপ, জিরাসাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করে থাকেন তারা।

কিন্তু এবারে বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই অতি বর্ষণ এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মাঠে বন্যার পানি ঢুকে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

উঁচল কাশিমপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের  বোরো ধান কেটে শেষ না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, আমন ধানের আবাদ এবারে করা সম্ভব হবে না।’

চৌথল গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলোতে  যেমন বোরো চাষ হয়, তেমনি আমন ধানে চাষও ব্যাপক হয়ে থাকে। গতবার আমরা প্রচুর পরিমাণে চিনি আতপ ধানের চাষ করেছিলাম।

তাতে ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু এবারে বীজতলা তৈরি করতেই পারলাম না। কিভাবে আমন চাষ করব তা নিয়ে হতাশায় রয়েছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অতি বর্ষণের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

নদীর পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমনচাষ করতে পারবেন।

ট্যাগস

নওগাঁয় ফজলুর রহমান হত্যা মামলায় ৫ জনকে যাবজ্জীবন

বন্যা ও জলাবদ্ধতায় নওগাঁয় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে না

আপডেট সময় ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

কৃষি  ডেস্কঃ অতিবর্ষণ ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩ বারের বন্যার পানিতে নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়েছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমের আমন চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় আমনের চারা উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা  আমন ধানের চারা সংকটে ভুগছেন।

উপজেলার শাহাগোলা, কালিকাপুর, কাশিমপুর, ভোঁপাড়া, জামগ্রাম, মনিয়ারী, নওদুলী, পালশা, চৌথলসহ পূর্ব এলাকার মাঠগুলো আমন চাষের জন্য বিখ্যাত।

এসব এলাকার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলার পর পরই আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এলাকা জুড়ে চিনি আতপ, জিরাসাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করে থাকেন তারা।

কিন্তু এবারে বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই অতি বর্ষণ এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মাঠে বন্যার পানি ঢুকে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

উঁচল কাশিমপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের  বোরো ধান কেটে শেষ না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, আমন ধানের আবাদ এবারে করা সম্ভব হবে না।’

চৌথল গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলোতে  যেমন বোরো চাষ হয়, তেমনি আমন ধানে চাষও ব্যাপক হয়ে থাকে। গতবার আমরা প্রচুর পরিমাণে চিনি আতপ ধানের চাষ করেছিলাম।

তাতে ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু এবারে বীজতলা তৈরি করতেই পারলাম না। কিভাবে আমন চাষ করব তা নিয়ে হতাশায় রয়েছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অতি বর্ষণের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

নদীর পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমনচাষ করতে পারবেন।