ঢাকা ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

বন্যা ও জলাবদ্ধতায় নওগাঁয় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে না

নওগাঁর আত্রাইয়ে জলাবদ্ধতায় কয়েক হাজার হেক্টর জমি

কৃষি  ডেস্কঃ অতিবর্ষণ ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩ বারের বন্যার পানিতে নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়েছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমের আমন চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় আমনের চারা উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা  আমন ধানের চারা সংকটে ভুগছেন।

উপজেলার শাহাগোলা, কালিকাপুর, কাশিমপুর, ভোঁপাড়া, জামগ্রাম, মনিয়ারী, নওদুলী, পালশা, চৌথলসহ পূর্ব এলাকার মাঠগুলো আমন চাষের জন্য বিখ্যাত।

এসব এলাকার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলার পর পরই আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এলাকা জুড়ে চিনি আতপ, জিরাসাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করে থাকেন তারা।

কিন্তু এবারে বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই অতি বর্ষণ এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মাঠে বন্যার পানি ঢুকে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

উঁচল কাশিমপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের  বোরো ধান কেটে শেষ না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, আমন ধানের আবাদ এবারে করা সম্ভব হবে না।’

চৌথল গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলোতে  যেমন বোরো চাষ হয়, তেমনি আমন ধানে চাষও ব্যাপক হয়ে থাকে। গতবার আমরা প্রচুর পরিমাণে চিনি আতপ ধানের চাষ করেছিলাম।

তাতে ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু এবারে বীজতলা তৈরি করতেই পারলাম না। কিভাবে আমন চাষ করব তা নিয়ে হতাশায় রয়েছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অতি বর্ষণের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

নদীর পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমনচাষ করতে পারবেন।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

বন্যা ও জলাবদ্ধতায় নওগাঁয় ছয় হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ হচ্ছে না

আপডেট সময় ১১:৩৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২০

কৃষি  ডেস্কঃ অতিবর্ষণ ও সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ৩ বারের বন্যার পানিতে নওগাঁর আত্রাইয়ের প্রতিটি মাঠে মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি অনাবাদী পড়েছে। এসব জমিতে চলতি মৌসুমের আমন চাষও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে ডুবে যাওয়ায় আমনের চারা উৎপাদন করতে না পারায় অধিকাংশ এলাকার কৃষকরা  আমন ধানের চারা সংকটে ভুগছেন।

উপজেলার শাহাগোলা, কালিকাপুর, কাশিমপুর, ভোঁপাড়া, জামগ্রাম, মনিয়ারী, নওদুলী, পালশা, চৌথলসহ পূর্ব এলাকার মাঠগুলো আমন চাষের জন্য বিখ্যাত।

এসব এলাকার কৃষকরা বোরো ধান ঘরে তোলার পর পরই আমনের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এলাকা জুড়ে চিনি আতপ, জিরাসাইল, পাইজামসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ করে থাকেন তারা।

কিন্তু এবারে বোরো ধান কাটা শেষ হতে না হতেই অতি বর্ষণ এবং নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে প্রতিটি মাঠে বন্যার পানি ঢুকে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আমন ধানের চাষ নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

উঁচল কাশিমপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, ‘আমাদের  বোরো ধান কেটে শেষ না করতেই মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মাঠ পানিতে ভরে গেছে, আমন ধানের আবাদ এবারে করা সম্ভব হবে না।’

চৌথল গ্রামের কৃষক আলতাফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার জমিগুলোতে  যেমন বোরো চাষ হয়, তেমনি আমন ধানে চাষও ব্যাপক হয়ে থাকে। গতবার আমরা প্রচুর পরিমাণে চিনি আতপ ধানের চাষ করেছিলাম।

তাতে ফলনও হয়েছিল ভালো। কিন্তু এবারে বীজতলা তৈরি করতেই পারলাম না। কিভাবে আমন চাষ করব তা নিয়ে হতাশায় রয়েছি।’ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউছার হোসেন বলেন, হঠাৎ করে অতি বর্ষণের ফলে মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

নদীর পানি কিছুটা কমলে মাঠের পানিও কমে যাবে। আমরা আশা করছি মাঠে পানি নেমে গেলে কৃষকরা পুরোদমে আমনচাষ করতে পারবেন।