অর্থনীতি ডেস্কঃ সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
দিনের লেনদেন শেষ সূচকের পতন হলেও এদিন শুরুতে লেনদেনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দেয়। প্রথম আধাঘণ্টার লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ২১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এর পরই পরিস্থিতি বদলে যায়।
লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের দরপতন হতে থাকে। ফলে নিম্নমুখী হয়ে পড়ে সূচক। একপর্যায়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ৮১ পয়েন্ট পড়ে যায়।
তবে শেষ দেড়ঘণ্টার লেনদেনে অংশ নেয়া বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের দাম বাড়ে। এতে বড় ধসের হাত থেকে রক্ষা পায় শেয়ারবাজার। অবশ্য এরপরও সূচকের বড় পতন হয়েছে।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৭৬২ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৬৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১০৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
সূচকের এই পতনের দিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৮৯ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩২টির এবং ৩৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা।
আগের দিন লেনদেন হয় ৯৩৭ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেই হিসাবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ১৪৫ কোটি ৬২ লাখ টাকা। টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকো’র।
কোম্পানিটির ৫২ কোটি ৮২ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ৪১ কোটি ৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ২২ কোটি ৫৯ লাখ টাকার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।
এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ওরিয়ন ফার্মা, আইএফআইসি ব্যাংক, লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ব্র্যাক ব্যাংক ও বারাকা পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৮৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
লেনদেনে অংশ নেয়া ২৫৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ৩২টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।