বিনোদন ডেস্কঃ এদেশে দুর্দান্ত এক অভিনেতার নাম মোশাররফ করিম। তার অভিনয় হাসায়, কাঁদায়৷ জীবনবোধের গল্পের নাটকগুলোতে তিনি বার্তা নিয়েও হাজির হন দর্শকের জন্য।
অনেকদিক ধরেই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত হলেও ২০০৮ থেকে জনপ্রিয়তার শুরু। এরপর দর্শক প্রতিনিয়ত দেখেছেন ক্রমান্বয়ে পরিণত হওয়া মোশাররফ করিমকে। আজ এই অভিনেতার ৪৯তম জন্মদিন।
জীবনের বিশেষ এ দিনে ভক্ত-অনুরাগীদের ভালোবাসায় বাসছেন তিনি। সবাইকে এজন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন৷ জন্মদিন নিয়ে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘এবারের জন্মদিনে কোনো আয়োজন থাকছে না।
জন্মদিন পালন করার ব্যাপারটা আমার কাছে ভালো লাগে না। নিজের জন্মদিন নিজে পালন করি না কখোনো। তবে আমাকে যারা ভালোবাসেন তারা জন্মদিনে নানা কিছু করেন। এটাই ভালো লাগে।’
তিনি জানালেন, কোথাও যাবেন না। করোনার এই ঘরবন্দী সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাসাতেই কাটবে জন্মদিন। মোশাররফ করিমের পারিবারিক নাম কে এম মোশাররফ করিম। ১৯৭১ সালের ২২ আগস্ট ঢাকায় তিনি জন্মগ্রহণ করেন।
তার অভিনয়ের শুরু সেই স্কুল থিয়েটার থেকে। এসএসসি পাস করে ১৯৮৬ সালে ঢাকায় এসে নাম লিখিয়েছিলেন নাট্যকেন্দ্রে। সেখানেই পেয়েছিলেন তারিক আনাম খান, ঝুনা চৌধুরী, জাহিদ হাসান এবং তৌকীর আহমেদের মতো মানুষজনের সাহচর্য।
১৯৯৮ সালে আবুল হায়াতের ‘অতিথি’ নাটকে ছোট একটি চরিত্র দিয়ে তার টিভি যাত্রা শুরু। এরপর বেশ কিছু নাটক ও চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন চরিত্রাভিনেতা হিসেবে৷
তবে এক দশকের স্ট্রাগল শেষে ২০০৮ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘ক্যারাম’ নাটক তার ভাগ্য বদলে দেয়। রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন মোশাররফ করিম।
সালাউদ্দিন লাভলুর ধারাবাহিক ‘ভবের হাট’ নাটকে অভিনয় করে দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পান। ‘পিক পকেট’, ‘লস প্রজেক্ট’ কিংবা তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ থেকে-
শুরু করে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ধারাবাহিক নাটক ‘৪২০’ তাকে সবার প্রিয় করে তুলে৷ এরপর থেকেই পথ চলছেন তিনি দেশের সেরা অভিনেতাদের একজন হয়ে।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য নাটক তিনি উপহার দিয়েছেন। ‘জয়যাত্রা’ সিনেমা যাত্রা করা মোশাররফ অভিনয় করেছেন ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘হালদা’, ‘টেলিভিশন’, ‘থার্ড পারসন-
সিঙ্গুলার নাম্বার’, ‘জালালের গল্প’ সিনেমাগুলোতে৷ সম্প্রতি কলকাতায় ব্রাত্য বসু পরিচালিত একটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। সেটি রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।