স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে মিডিয়া বুলেটিনঃ দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর মিছিল ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এ মিছিলে যুক্ত হয়েছেন আরও ২৭ জন।
এতে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল তিন হাজার ৩৩৩ জনে। একই সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৮৫১ জনের। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৫২ হাজার ৫০২।
করোনাভাইরাস বিষয়ে শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনলাইনে বুলেটিন পড়েন অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা।
এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৮৫১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৯২ জনে।
আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২৭ জন। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জনে।
মৃতদের মধ্যে কোন বয়সী এবং কোন বিভাগের কতজন
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের পুরুষ ২৪ জন এবং নারী তিনজন। ২৬ জন হাসপাতালে এবং একজন বাসায় মারা গেছেন।
এদের মধ্যে চল্লিশোর্ধ্ব চারজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ছয়জন, ষাটোর্ধ্ব ১২ জন, সত্তরোর্ধ্ব চারজন এবং ৮০ বছরের বেশি বয়সী একজন ছিলেন।
তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ছিলেন ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের তিনজন, রংপুর বিভাগের দুইজন, খুলনা বিভাগের পাঁচজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন-
এবং বরিশাল বিভাগের ছিলেন একজন। এ পর্যন্ত মৃতদের মধ্যে দুই হাজার ৬৩০ জন পুরুষ (৭৮ দশমিক ৯১ শতাংশ) এবং ৭০৩ জন নারী (২১ দশমিক ০৯ শতাংশ)।
গতকালের তথ্য
গতকাল বৃহস্পতিবারের (৬ আগস্ট) বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৯ জন মারা গেছেন। ১২ হাজার ৭০৮টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন আরও দুই হাজার ৯৭৭ জন।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
শুক্রবারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার-
তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।