রাজনীতি ডেস্কঃ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মানুষের দুর্যোগ ও কষ্টে পাশে না থেকে বিএনপি সংবাদমাধ্যমে কথামালার ধারা বর্ষণ করে যাচ্ছে।
জনরোষের ভয়ে আতঙ্কে বিএনপি এমন বেপরোয়া আচরণ করছে। বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) রাজধানীর বনানী প্রকল্প অফিসে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে নিজ বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপি মানুষের দুর্যোগ ও কষ্টে গণমাধ্যমে কথামালার ধারা বর্ষণ করে যাচ্ছে। তারা করনো আক্রান্ত মানুষের পাশে নেই।
নেই কর্মহীন অসহায় মানুষের পাশে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন অসহায় মানুষের সহায়তায় অনন্য নজির স্থাপন করেছে, তখন এই দলটি ঘরে বসে থেকে ক্লান্ত। গৃহকোণ থেকে বুলি ছোড়া তাদের কাজ।
তিনি বলেন, সরকার এবং আওয়ামী লীগ এখন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি উদ্যোগে চলছে ত্রাণ তৎপরতা।
তখনও বিএনপি নিজেদের দুর্গত মনে করে বিপন্ন বোধ করছে। তারা আসলেই মানসিকভাবে বিপন্ন। তারা নিজেরাই জনরোষের ভয়ে আতঙ্কে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব বলেছেন, মানুষ নাকি আতঙ্কে আছে। তিনি ঠিকই বলেছেন মানুষ বিএনপির কর্মহীন, প্রত্যাশাহীন বাক্যবাণের আতঙ্কে আছে।
তারা জনগণকে সাহস না দিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সরকার মানুষকে যেভাবে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, বিএনপি তা মেনে নিতে পারছে না। তাই প্রতিহিংসায় জ্বলছে।
তিনি বলেন, বিরোধীদের কেউ কেউ সামাজিক গণমাধ্যম এবং দেশ-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটি যুক্তিসঙ্গত নয়, প্রকারান্তরে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার সামিল।
পানিবন্দী মানুষের মানবিক সহায়তার পাশাপাশি বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন ও কৃষিখাতসহ বিভিন্ন খাতে ক্ষতি পুষিয়ে দিতে গুচ্ছ পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক।
সেতু নির্মাণে চুক্তি স্বাক্ষর প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট-বড় ৬১টি সেতু নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণে গ্রহণ করা হয় ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট।
প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার এ প্রকল্পে জাপানেরসহায়তা প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পে নতুন করে আরও ২১টি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে-
আজ নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি সই হলো। চুক্তি মূল্য ৬৫০ কোটি টাকা। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ২৪ মাসের মধ্যে এ সেতুগুলো নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
তিনি বলেন, এই ২১টি ও আগের ৬১টিসহ মোট ৮২টি সেতু নির্মিত হলে দেশের সড়ক নেটওয়ার্ক আরও শক্তিশালী হবে। মানুষের চলাচল ও পণ্য পরিবহন সাশ্রয়ী হবে। ভ্রমণের সময় কমে আসবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মেট্রোরেল প্রকল্প রুট ৬ এর নির্মাণ কাজের সর্বশেষ অগ্রগতি ৪৭ ভাগ। বর্তমান ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন, বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে।
স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। করোনা পরিস্থিতিতে আক্রান্ত জনগণের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে এসেছে।
এছাড়া, মেট্রো রেল রুট-১ এর নির্মাণ কাজ শুরুর লক্ষ্যে প্রাথমিক প্রস্তুতি শেষে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নের কাজ চলছে। শুরু হয়েছে ডিপো এলাকার ভূমি অধিগ্রহণের প্রস্তুতিও।
মেট্রোরেল রুট-৫ এর নর্দান অঞ্চলের কাজ শুরুর লক্ষ্যে বিস্তারিত নকশা প্রণয়নসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজে সম্প্রতি পরামর্শ নিয়োগের চুক্তি হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরকে চলমান প্রকল্পগুলোর বাধা নিষ্পত্তি করে দ্রুত সম্পাদনের জন্য বিশেষ তদারকি টিম নির্দেশ দেন।