স্টাফ রিপোর্টারঃ করোনার ভুয়া রিপোর্ট দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদের বিরুদ্ধে ৫৯টি মামলা রয়েছে।
র্যাব জানায়, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্টের মামলাসহ ৫৯টি মামলা রয়েছে সাহেদের বিরুদ্ধে। বুধবার (১৫ জুলাই) ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্তের দেবহাটা থানার-
লবঙ্গবতি নদীর কোমরপুর ব্রিজের পাশের একটি ড্রেনের ভেতর বোরকা পরে শুয়ে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের আগে নদী পার হয়ে ভারতের পালানোর জন্য নদী তীর দিয়ে ছদ্মবেশে ঘুরছিলেন সাহেদ।
তা দেখে নদীতে মাছ ধরা স্থানীয় জেলেরা ভেবেছিলেন পাগল। নৌকাও একটা পেয়েছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। নৌকার মাঝি তাকে পার করতে রাজি হননি।
এরই মধ্যে র্যাবের গাড়ি চলে আসে। র্যাবের উপস্থিতি লক্ষ্য করে উপায় না দেখে শাখরা কোমরপুর ব্রিজের পাশে একটি ছোট্ট ড্রেনে লুকিয়ে পরেন সাহেদ। ছদ্মবেশে বোরকা পরে ড্রেনে লুকিয়েও শেষ রক্ষা হলো না।
ড্রেন থেকে টেনে তুলে তাকে হাতে হাতকড়া পরায়। বুধবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের গোয়েন্দা দল। গ্রেপ্তারের পর হেলিকপ্টারে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
র্যাব ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বুধবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে সাতক্ষীরা সীমান্তের দেবহাটা থানার সাগর বাজারের পাশে অবস্থিত ইছামতি নদীতে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাহেদ। স্থানীয় একজন
কালোবাজারির মাধ্যমে ডিঙি নৌকায় চেপে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন। র্যাবের উপস্থিতি টেরে পেয়ে সাহেদ বোরকা পরে ব্রিজের
পাশে নর্দমায় শুয়ে পরে। ঠিক সেই সময়ে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে তাকে অনুসরণ করা র্যাবের গোয়েন্দা দল।
প্রত্যক্ষদর্শী কোমরপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম জানান, শাখরা কোমরপুর ব্রিজের পাশে একটি ছোট ড্রেন রয়েছে নর্দমার মতো। সেই ড্রেনের ভেতরে বোরকা পরে শুয়ে ছিলেন প্রতারক সাহেদ।
জেলেরা ভেবেছিলেন কোনো পাগল শুয়ে আছে। আমাদের এলাকায় এমন একজন পাগল রয়েছে। সে যেখানে সেখানে শুয়ে থাকে। এরপর র্যাবের তিনটি গাড়ি আসে পর পর।
চিৎকার করতে থাকে, এই পেয়েছি এই পেয়েছি। আমরা তখন মসজিদে নামাজ পড়ে বের হয়েছি মাত্র। বোরকা পরা অবস্থায় র্যাব তাকে বের করে হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যায়।
সাহেদের কাছে একটি পিস্তল পেয়েছে র্যাব। সাহেদ একটি নৌকাও ভাড়া করেছিলেন। সেই নৌকায় ভারতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। শুনেছি নৌকার মাঝি তাকে পার করেননি।
উল্লেখ্য, করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট প্রদান, অর্থ আত্মসাতসহ প্রতারণার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মো. সাহেদ একাধিক মামলার আসামি।