আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ কয়েকদিন আগেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশ পরিচালনায় অযোগ্য বলেছিলেন সেদেশের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টন।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন এ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা নিজের নতুন বইতে দাবি করেছেন, দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার-
জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্প চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাহায্য পেতে চেষ্টা করেছিলেন। এবার ট্রাম্পের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বল্টন।
সবসময় ট্রাম্প প্রচার করে বেড়াচ্ছে ভারত-চীন সীমান্ত সংঘাতে ভারতের পাশে আমেরিকা। লাদাখে যদি ভবিষ্যতে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়,-
তবে ভারতীয় সেনার পাশে থাকবে মার্কিন সেনাও। হোয়াইট হাউসের গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মারফত কয়েকদিন আগে এমনই দাবি করা হয়েছিল মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে।
পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের পর থেকেই চীনকে চাপে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে আমেরিকাসহ তার মিত্র দেশগুলো।
আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ন্যাটোভুক্ত দেশগুলি চীনকে সতর্কও করে। ইউরোপ থেকে এশিয়ায় সেনা সরিয়ে আনে আমেরিকা।
দক্ষিণ চীন সাগরে পাঠিয়ে দেয় রণতরীও। তবে প্রশ্ন, মার্কিন সৈন্য কি আদৌ ভারতের সাহায্যে আসবে? জন বল্টনের মতে, সঠিক সময়ে ট্রাম্প যে ভারতকে সাহায্য করবে, তার কোনও গ্যারান্টি নেই।
প্রসঙ্গত কয়েক দিন আগেই, প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য ট্রাম্প শি জিনপিংয়ের কাছে সাহায্য চেয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন আমেরিকার প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা।
চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বল্টন তার বইতে লেখেন, ‘দ্বিতীয় দফায় রাষ্ট্রপতি হতে চীনের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর জন্য চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের কাছে নাকি রীতিমতো আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি।
আসলে ট্রাম্প আমেরিকার কৃষকদের ভোট নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। এর জন্য আমেরিকা থেকে চিন যেন বেশি করে গম ও সয়াবিন আমদানি করে তার অনুরোধ করেছিলেন।’