ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫, ২৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

বাংলাদেশ ন্যাপ

রাজনীতি ডেস্কঃ  সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। 

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এসব কথা বলেন।

এ ব্যাপারে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পাটকল বন্ধ করে কিংবা পিপিপি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করে সমস্যার সমাধান হবে না।

বরং পাটকলগুলোকে লাভবান করতে পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছাঁটাই, পাটক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হবে।

তারা বলেন, পাটকল বন্ধ করা বিগত সরকার তথা ৪ দলীয় জোট সরকারের নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র। পাটকল পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা পাটক্রয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছেন,-

যারা মৌসুমে পাট সরবরাহ করেননি, যারা উৎপাদিত পাটপণ্য বিপণনে কোনো ভূমিকা রাখেননি, যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প-

লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দ্বারা শ্রমিকদের বিদায় করা অমূলক।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাট চাষ, পাটশিল্প এবং পাটজাত দ্রব্য ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ৫০ লাখ পাট চাষি, পাট শ্রমিক, পাট ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

এ অবস্থায় পাটকল বন্ধ করার আজগুবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পাটকলের পুরোনো যন্ত্রাংশ বাতিল করে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাংশ সংযোজন করে পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও চালু রাখা প্রয়োজন।

ট্যাগস

পাটকল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি

আপডেট সময় ০৫:০৯:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

রাজনীতি ডেস্কঃ  সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্তে বিস্ময় ও উদ্বেগ প্রকাশ করে সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। 

মঙ্গলবার (৩০ জুন) গণমাধ্যমে প্রেরিত বিবৃতিতে ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া এসব কথা বলেন।

এ ব্যাপারে ন্যাপ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পাটকল বন্ধ করে কিংবা পিপিপি ভিত্তিতে পুনরায় চালু করে সমস্যার সমাধান হবে না।

বরং পাটকলগুলোকে লাভবান করতে পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ছাঁটাই, পাটক্রয়ে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে হবে।

তারা বলেন, পাটকল বন্ধ করা বিগত সরকার তথা ৪ দলীয় জোট সরকারের নীতিমালারই অনুকরণ মাত্র। পাটকল পরিচালনা কেন্দ্র বিজেএমসির মাথাভারী প্রশাসন, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা যারা পাটক্রয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম করেছেন,-

যারা মৌসুমে পাট সরবরাহ করেননি, যারা উৎপাদিত পাটপণ্য বিপণনে কোনো ভূমিকা রাখেননি, যাদের কারণে ঐতিহ্যবাহী পাটশিল্প-

লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে পাটকল বন্ধ করে কথিত গোল্ডেন হ্যান্ডশেক দ্বারা শ্রমিকদের বিদায় করা অমূলক।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশের অভ্যুদয়, সংগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সঙ্গে পাট চাষ, পাটশিল্প এবং পাটজাত দ্রব্য ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। ৫০ লাখ পাট চাষি, পাট শ্রমিক, পাট ব্যবসায়ীসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাটশিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

এ অবস্থায় পাটকল বন্ধ করার আজগুবি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে পাটকলের পুরোনো যন্ত্রাংশ বাতিল করে উন্নত প্রযুক্তির আধুনিক যন্ত্রাংশ সংযোজন করে পাটকলগুলোকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর ও চালু রাখা প্রয়োজন।