ঢাকা ০৮:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা Logo পোড়া অফিস দেখে বিমর্ষ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ Logo দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী Logo চোখের জলে নয়নকে বিদায় জানালো ফায়ার সার্ভিস Logo ইসরায়েলে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র পাঠাচ্ছে জার্মানি Logo সচিবালয়ে আগুন নাশকতা কি না তদন্তের পর জানা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে কেউ জড়িত থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না: উপদেষ্টা আসিফ Logo কুষ্টিয়া ভাড়া বাসা থেকে নারী পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo কিশোরগঞ্জে খেজুরের রস পান করে ‘জয় বাংল’ স্লোগান, কারাগারে ১৫ যুবক Logo সচিবালয়ে আগুন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আট ও নয় তলা

করোনায় লালমনিরহাটের জেলা জজের মৃত্যু

১৫ জুন তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ফেরদৌস আহমেদ (৫৫)।

বুধবার (২৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ।

মুনতাসির আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদের কথা হয়েছে। লে. কর্নেল সাজ্জাদ তার শ্বশুরের মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।

এদিকে, বিচারক ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, জজ ফেরদৌস আহমেদ মারা গেছেন।করোনাভাইরাসে প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু হলো।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জজ ফেরদৌস আহমেদ। ১৫ জুন তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদ।

লে. কর্নেল সাজ্জাদ ওই দিন বলেন, আমার শ্বশুর লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৌস আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা তার জন্য ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা খুঁজছি। আপনাদের সন্ধানে থাকলে প্লিজ দ্রুত জানান। এরই মধ্যে বুধবার তার মৃত্যু হলো।

লালমনিরহাট আদালত সূত্র জানায়, বিচারক ফেরদৌস আহমেদ ১ জুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে আসেন। ৪ জুন আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি জানার পরই তাকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা দরকার ছিল তার। প্লাজমা দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বিয়ে না, সম্পর্ক ও রোমান্স করতে চান নায়িকা

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

করোনায় লালমনিরহাটের জেলা জজের মৃত্যু

আপডেট সময় ০৯:৪১:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুন ২০২০

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন লালমনিরহাটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. ফেরদৌস আহমেদ (৫৫)।

বুধবার (২৪ জুন) রাত ৮টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম বন্দরের আইন কর্মকর্তা মুনতাসির আহমেদ।

মুনতাসির আহমেদ বলেন, আমার সঙ্গে জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদের কথা হয়েছে। লে. কর্নেল সাজ্জাদ তার শ্বশুরের মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।

এদিকে, বিচারক ফেরদৌস আহমেদের মৃত্যুর খবর জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাই কোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, জজ ফেরদৌস আহমেদ মারা গেছেন।করোনাভাইরাসে প্রথম কোনো বিচারকের মৃত্যু হলো।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন জজ ফেরদৌস আহমেদ। ১৫ জুন তার করোনা আক্রান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দায়রা জজ ফেরদৌস আহমেদের জামাতা লে. কর্নেল সাজ্জাদ।

লে. কর্নেল সাজ্জাদ ওই দিন বলেন, আমার শ্বশুর লালমনিরহাটের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. ফেরদৌস আহমেদ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সিএমএইচের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। আমরা তার জন্য ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা খুঁজছি। আপনাদের সন্ধানে থাকলে প্লিজ দ্রুত জানান। এরই মধ্যে বুধবার তার মৃত্যু হলো।

লালমনিরহাট আদালত সূত্র জানায়, বিচারক ফেরদৌস আহমেদ ১ জুন ঢাকা থেকে লালমনিরহাটে আসেন। ৪ জুন আদালতে বিচারকাজ পরিচালনা করে আবার ঢাকায় ফিরে যান। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়লে ঢাকায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। বিষয়টি জানার পরই তাকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। ‘এবি পজিটিভ’ রক্তের প্লাজমা দরকার ছিল তার। প্লাজমা দিয়েও তাকে বাঁচানো যায়নি।