বিনোদন ডেস্কঃ সময়টা ভালো যাচ্ছে না বাংলা সিনেমার। সে হোক এপার বাংলার সিনেমা কিংবা ওপারের। তবে কলকাতা সিনেমার এই ক্রান্তিলগ্নে একেবারে নিঃশব্দে পাশে দাঁড়িয়েছেন বিখ্যাত ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলি।
করোনা আবহে চলছে লকডাউন। উপরন্তু গত মাসেই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হয়ে গেল আম্ফানের তাণ্ডব! ইন্ডাস্ট্রির দিন আনি দিন খাই মানুষগুলোর অনেকেই বেজায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছিলেন।
সেসব মানুষগুলোর কথা ভেবেই আর্টিস্ট ফোরামে একটা বড় অঙ্কের অর্থসাহায্য করেছেন সৌরভ। তবে একেবারে প্রচারের আড়ালে থেকেই। ঘুণাক্ষরেও কাউকে টের পেতে দেননি।
দাদার এই কীর্তি’তে আপ্লুত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ টলিউডের তারকারা। আর্টিস্ট ফোরামের তহবিলে ১০ লক্ষ টাকা অর্থসাহায্য করেছেন সৌরভ।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে যখন থেকে লকডাউন জারি হয়েছে তখন থেকেই বেজায় সমস্যার মধ্যে পড়েছিলেন টলিউডের বহু কলাকুশলীরা। সিনেমা, ওয়েবসিরিজ হোক কিংবা ধারাবাহিক, যাবতীয় শুটিংয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল।
অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো বিনোদন দুনিয়াতেও যে বড়সড় আর্থিক ক্ষতি হয়েছে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না! সবচাইতে বেশি বিপদে পড়েছিলেন জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা।
যারা কিনা সিনেমার সেটে দিনরাত খেটে পরিচালকের ভাবনাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেন। আর তাই সেসমস্ত স্পটবয়, সহকারী-কলাকুশলীদের-
সমস্যার কথা চিন্তা করেই আর্টিস্ট ফোরামের তরফে একটি ত্রাণ তহবিল গড়ে তোলা হয়েছিল। সেই তহবিলেই আর্থিক সাহায্য করেছেন সৌরভ।
আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি তিনি এখন আর নেই ঠিকই। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রির দুর্দিনের জন্য প্রসেনজিতের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল।
তাই সৌরভের এমন মানবিক উদ্যোগে আপ্লুত হয়ে নিজে ফোন না করে থাকতে পারেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়-
সৌরভের উদ্দেশে টুইটে লিখেছেন, ‘উনি সবসময়ই আমাদের পাশে রয়েছেন। আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে তাকে ফোন করেছিলাম।’
এদিকে আবীর চট্টোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আজ্ঞে হ্যাঁ! লকডাউনের দিনগুলোতে ইন্ডাস্ট্রির মানুষগুলো যখন সমস্যায় পড়েছিলেন তখন কোনোরকম প্রচার ছাড়াই একেবারে নিঃশব্দে উনি সাহায্য করেছেন।’