ঈশ্বরদী প্রতিনিধি, পাবনাঃ ঈশ্বরদীতে সোমবার (১৫ জুন) ভোরে এক ব্যক্তির বাড়িতে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে দুই ভাইকে হত্যার হুমকি দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
উপজেলার দিয়াড় বাঘইল গ্রামের আকমল হোসেন বাবু বলেন, গত রবিবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় দরজার মুখে দুর্বৃত্তরা একটি প্যাকেটের ভেতরে এক টুকরা সাদা কাপড়, আগরবাতি, গোলাপজল ও গামছা রেখে যায়।
সকালে শফিকুলের স্ত্রী ঘরের দরজা খুলেই এটি দেখতে পান। এক টুকরা সাদা কাপড়ের উপর লাল কালিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বিভিন্ন কথা লেখা রয়েছে।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, আলমের একমাত্র ছেলে টনিক এবং তাঁর চাচাতো ভাই স্মরণকে হত্যা করা হবে।
এদিকে এই চিঠি পাওয়ার পর থেকে ওই পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এছাড়াও উৎসুক লোকজন ওই বাড়িতে এগুলো দেখার জন্য ব্যাপক ভিড় জমিয়েছে।
ইতিমধ্যে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় আকমল বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করবেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রেজাউল আলম নান্টু জানান, জিনিসগুলো থানায় জমা দেবার জন্য নিয়ে যাচ্ছি, প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বের করবে। এলাকায় এ ধরনের ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি সত্যিই দুঃখজনক।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গগত গেল ৭ এপ্রিল-
রাতে আকমল হোসেন বাবুর বাড়ি এবং তাঁর প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম প্রামাণিকের বাড়িতের সামনে দুটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু কে বা কারা রেখে যায়।
খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানা–পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব ও ফায়ার সার্ভিসের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন।
সবশেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিকেলে সেটি নিষ্ক্রিয় করে। ৮ সদস্য প্রধান পুলিশের-
পরিদর্শকদের (ইন্সপেক্টর) শফিকুল ইসলাম সেটি নিষ্ক্রিয় করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, এটি মূলত: কোন বোমা ছিল না,-
প্লাস্টিকের কোটার মধ্যে পোড়া মবিল, জর্দা এবং ইলেকট্রিক বাল্ব দিয়ে সেটি তৈরি এবং পলিথিনে মুড়িয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তু বানানো হয়েছিল।