চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। তারই প্রভাব পড়েছে নগরের সবজি বাজারে। বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকার সবজি ক্ষেত নষ্ট হওয়ার কারণে সরবরাহ কিছুটা কমেছে। তাই দামও বাড়তি।
শুক্রবার (১২ জুন) নগরের বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার ও রিয়াজ উদ্দিন বাজার ঘুরে সবজির যে দাম জানা গেছে, তার চেয়ে একটু বেশিই দামই নেওয়া হচ্ছে কাজীর দেউড়ি বাজারে।
তবে ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা কেনা মূল্যের চেয়ে ৩-৫ টাকা লাভে বিক্রি করছেন সবজি।
শুক্রবার প্রতি কেজি আলু ২৮ টাকা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, লাউ ২৫ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, পটল ৩৫-
থেকে ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ৩৫ টাকা, কাঁকরোল ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রিয়াজ উদ্দিন বাজারের সবজি বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে সবজি আসছে কম। তাই দাম বাড়ছে।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানায় সব ধরনের মাছ ও চিংড়ি আহরণ বন্ধ থাকায় বেড়েছে সামুদ্রিক মাছের দামও।
আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত সামুদ্রিক মাছের প্রজনন ও সংরক্ষণে সব ধরনের ট্রলারের মাধ্যমে মাছ ও ক্রিস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটলফিস ইত্যাদি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মাছের বাজারে প্রতি কেজি চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, লইট্যা ১৫০-১৬০ টাকা, পাঙ্গাস ১৩০-১৫০ টাকা, পাবদা ৩০০ টাকা, রূপচাঁদা মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা।
এছাড়া রুই ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, কাতাল ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, নাইলেটিকা ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে প্রক্রিয়াজাত মুরগীর মাংসের অংশ বিশেষ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাবে এর মধ্যেই মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে।
ব্রয়লার মুরগি ১৩০-১৪০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৪০-২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা কেজি দরে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা ও খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৭৫০ টাকা দরে।
বাজেটে পেঁয়াজ ও লবণ আমদানির ওপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হলেও শুক্রবার (১২ জুন) পর্যন্ত এ দুই নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানান মুদি দোকানিরা।