ক্রীড়া ডেস্কঃ গত এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্রিকেটে চলছে ফ্রি হিট’র নিয়ম। ২০০৭ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই নিয়ম। প্রাথমিকভাবে শুধু ওভারস্টেপিং নো বলে দেয়া হতো ফ্রি হিট।
পরবর্তীতে ২০১৫ সাল থেকে সবধরনের নো বলেই ব্যাটসম্যান পেয়ে থাকেন ফ্রি হিট। এই ফ্রি হিটের অর্থ হলো ব্যাটসম্যানের জন্য পুরোপুরি বোনাস একটি বল।
কেননা এই ডেলিভারিতে শুধুমাত্র রানআউট ছাড়া আর কোনভাবেই আউট হবেন না ব্যাটসম্যান। তাই নির্ভয়ে যেকোন শট হাঁকানোর স্বাধীনতা পেয়ে যান ব্যাটসম্যানরা।
অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট বিগ ব্যাশ লিগে ব্যাটসম্যানদের জন্য আরও সুবিধার কথাই ভাবা হচ্ছে।
টুর্নামেন্টের আসন্ন মৌসুমে প্রতিটি ওয়াইড বলের জন্যও দেয়া হবে ফ্রি হিট। অর্থাৎ যেকোন ধরনের অবৈধ (নো এবং ওয়াইড) বলেই বোলারদের পেতে হবে ফ্রি হিটের শাস্তি।
শুধু ওয়াইড বলে ফ্রি হিট নয়, বিগ ব্যাশ লিগকে আরও আকর্ষণীয় এবং দর্শকপ্রিয় করার জন্য বেশ কিছু পরিবর্তনের কথা ভাবছে বিগ ব্যাশ কর্তৃপক্ষ।
সবমিলিয়ে বিগ ব্যাশ লিগের জন্য ৬টি নিয়মের সুপারিশ করেছেন বিগ ব্যাশের টেলিভিশন নির্বাহী ডেভ বারহাম।
আগামী জুলাইয়ে হতে যাওয়া সভায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ) এবং আম্পায়ারদের কাছে-
এসব পরিবর্তনের ব্যাপারে যুক্তি তুলে ধরবেন বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান অ্যালিস্টার ডবসন, সিএ’র ইভেন্ট এক্সিউটিভ এভরার্ড এবং ম্যানেজাররা। যা সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন পেলেই আগামী বিগ ব্যাশে কার্যকর হবে।
যেসব পরিবর্তন আনার কথা ভাবা হচ্ছে বিগ ব্যাশ লিগে
> প্রতি ইনিংসের প্রথম ১০ ওভারের পারফরম্যান্সের ওপর থাকবে বোনাস পয়েন্ট।
> ইনিংসের ১০ ওভার যাওয়ার পর সাবস্টিটিউট খেলোয়াড় ব্যবহার করা যাবে।
> ছয় ওভারের পাওয়ারপ্লে দুই ভাগ করা হবে। প্রথমে চার ওভার এবং বাকি দুই ওভার পরের ১৬ ওভারের যেকোন সময়।
> ওয়াইড বলেও থাকবে ফ্রি হিট
প্রতি পাঁচ ওভার পর বিজ্ঞাপনী এবং খেলোয়াড়দের স্ট্র্যাটেজি ব্রেক দেয়া হবে।
> বিদেশি খেলোয়াড়দের ড্রাফটের ব্যাপারেও আসবে নতুন সিদ্ধান্ত।