ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আম্ফানে ফসলের ক্ষতি সাড়ে ছয় শ কোটি টাকা

আম্ফানে ফসলের ক্ষতি

অর্থনীতি ডেস্কঃ  ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশে সাড়ে ছয় শ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দেশের ৪৩ জেলায়     আম, ধানসহ ২০টি ফসলে এ ক্ষতির পরিমাণ ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কৃষকের ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে।

এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৭২৭ হেক্টর এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৭ হেক্টর।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর। ২ লাখ ৮৬ হাজার কৃষকের ৩০০ কোটি টাকারও বেশি আমের ক্ষতি হয়েছে।

আর লিচুতে ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৩ কোটি টাকারও বেশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, কিছু ক্ষতি আছে যা পুষিয়ে নেওয়ার নয়। যেমন— আম বাগান ও কলা বাগান।

কৃষকদের আমরা যেভাবে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করি, তাদের আবার সেভাবে সহায়তাও করা যায় না। আমরা তাদের সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনার আওতায় ঋণ নিতে উৎসাহিত করছি।

তারা যেন ঋণ নিয়ে আবারও বাগান করতে পারে। সাধারণত ঋণের হার ৯ শতাংশ হলেও তারা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে।

আর ছোট খাটো যেসব ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। যেমন— পান বরজ। কিছুদিন পর বরজ আবারও ঠিক হয়ে যাবে। আর অন্যান্য আক্রান্ত ফসলি জমির কৃষককে সামনের মৌসুমে বীজ, সার দিয়ে সরকার সহায়তা করবে।

ট্যাগস

আম্ফানে ফসলের ক্ষতি সাড়ে ছয় শ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৬:২৯:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

অর্থনীতি ডেস্কঃ  ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে দেশে সাড়ে ছয় শ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়েছে। দেশের ৪৩ জেলায়     আম, ধানসহ ২০টি ফসলে এ ক্ষতির পরিমাণ ৬৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় সাড়ে ৮ লাখ কৃষকের ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭ হেক্টর জমির ফসল আক্রান্ত হয়েছে।

এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ৪ হাজার ৭২৭ হেক্টর এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬৭ হেক্টর।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আম ও লিচুর। ২ লাখ ৮৬ হাজার কৃষকের ৩০০ কোটি টাকারও বেশি আমের ক্ষতি হয়েছে।

আর লিচুতে ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ১৩ কোটি টাকারও বেশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, কিছু ক্ষতি আছে যা পুষিয়ে নেওয়ার নয়। যেমন— আম বাগান ও কলা বাগান।

কৃষকদের আমরা যেভাবে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করি, তাদের আবার সেভাবে সহায়তাও করা যায় না। আমরা তাদের সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনার আওতায় ঋণ নিতে উৎসাহিত করছি।

তারা যেন ঋণ নিয়ে আবারও বাগান করতে পারে। সাধারণত ঋণের হার ৯ শতাংশ হলেও তারা ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবে।

আর ছোট খাটো যেসব ক্ষতি, তা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। যেমন— পান বরজ। কিছুদিন পর বরজ আবারও ঠিক হয়ে যাবে। আর অন্যান্য আক্রান্ত ফসলি জমির কৃষককে সামনের মৌসুমে বীজ, সার দিয়ে সরকার সহায়তা করবে।