ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা Logo আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার Logo আমরা সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখব : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস Logo নতুন আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব পেলেন বাহারুল আলম Logo সিরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পালমিরা শহরে ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলায়, নিহত ৩৬, আহত ৫০ Logo ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় চালকদের বিক্ষোভ

করোনায় গরুর খামারিদের লোকসান ২০০০ কোটি টাকা

গরুর খামার

অর্থনীতি ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে মাংস উৎপাদনকারী খামারের ব্যবসা। গত আড়াই মাসে গবাদি পশুর বিক্রি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

ব্যবসায়ীদের হিসাবে মাংস উৎপাদনকারী খামারগুলো দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ছুটির শুরু থেকে এ পর্যন্ত লোকসান হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

চলমান পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফসহ প্রান্তিক খামারিদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন।

দেশে প্রায় তিনলাখ ছোট বড় ডেইরি খামার রয়েছে। বছরে এসব খামারে ৭৬ লাখ মেট্রিক টন মাংস এবং ৯৯ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়।

মাংস উৎপাদনের প্রতিটি গরুকে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত বিশেষ পরিচর্যা করতে হয়। এই সময়ে শুধু খাবার বাবদ প্রতিটি গরুর পেছনে ব্যয় হয় ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অন্য খরচ তো সঙ্গে থাকছেই।

পারভেজ মোশারফ নামে ময়মনসিংহের এক খামারি বলেন, আমরা যারা প্রান্তিক খামারি আছি, তারা একদমই গরু বিক্রি করতে পারছি না।

হাটবাজার বন্ধ থাকায় অধিকাংশ গরু খামারেই আটকে রয়েছে। গরুকে ঠিকমতো খাবার দিতে না পারায় অনেক শুকিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গতবছর আমি ২০টি গরু মোটাতাজা করেছিলাম। সবগুলোই বিক্রি হওয়ার পর আরও ১০টি গরু অন্য জায়গা থেকে এনে বিক্রি করেছি।

করোনা ভাইরাসের কারণে খাবারের অভাবে এবছর অধিকাংশ গরু কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি। দেখা গেছে যে গরুটি আগে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো সেই গরুটি এবছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার গবাদি পশুম বিক্রি করতো খামারিরা।

এসব মূলত মাংস হিসেবে বিক্রি হতো খুচরা পর্যায়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে সেই বিক্রি নেমে এসেছে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকায়। বিক্রি কমে যাওয়ায় খামারের খরচ মেটানোই কঠিন হয়েছে খামার মালিকদের জন্য।

পারভেজ মোশারফ বলেন, অধিকাংশ খামারি দোকানদারের কাছ থেকে বাকিতে খাবার আনে গরুর জন্য।

করোনা ভাইরাসের ছুটির কারণে সময়মতো গরু বিক্রি করে টাকা দিতে পারবো কিনা সেই ভয়ে দোকানদার আমাদের খাবার সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। দাম বেড়েছে রেডিমিক্স ও গমের ভুসির।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, এবার সত্যিকার অর্থে বেচাবিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ।

৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খামারিদের বিক্রি বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ৪৫ কোটি টাকার মাংস বিক্রি হতো সেটা ১৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।

ট্যাগস

আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

করোনায় গরুর খামারিদের লোকসান ২০০০ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৬:৪৩:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মে ২০২০

অর্থনীতি ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাসের প্রভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে মাংস উৎপাদনকারী খামারের ব্যবসা। গত আড়াই মাসে গবাদি পশুর বিক্রি কমেছে প্রায় ৭০ শতাংশ।

ব্যবসায়ীদের হিসাবে মাংস উৎপাদনকারী খামারগুলো দৈনিক ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা লোকসান দিচ্ছে। করোনা ভাইরাসের ছুটির শুরু থেকে এ পর্যন্ত লোকসান হয়েছে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা।

চলমান পরিস্থিতিতে তিন মাসের জন্য খামারের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফসহ প্রান্তিক খামারিদের জন্য আর্থিক সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশন।

দেশে প্রায় তিনলাখ ছোট বড় ডেইরি খামার রয়েছে। বছরে এসব খামারে ৭৬ লাখ মেট্রিক টন মাংস এবং ৯৯ লাখ মেট্রিক টন দুধ উৎপাদন হয়।

মাংস উৎপাদনের প্রতিটি গরুকে ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত বিশেষ পরিচর্যা করতে হয়। এই সময়ে শুধু খাবার বাবদ প্রতিটি গরুর পেছনে ব্যয় হয় ৩০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অন্য খরচ তো সঙ্গে থাকছেই।

পারভেজ মোশারফ নামে ময়মনসিংহের এক খামারি বলেন, আমরা যারা প্রান্তিক খামারি আছি, তারা একদমই গরু বিক্রি করতে পারছি না।

হাটবাজার বন্ধ থাকায় অধিকাংশ গরু খামারেই আটকে রয়েছে। গরুকে ঠিকমতো খাবার দিতে না পারায় অনেক শুকিয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, গতবছর আমি ২০টি গরু মোটাতাজা করেছিলাম। সবগুলোই বিক্রি হওয়ার পর আরও ১০টি গরু অন্য জায়গা থেকে এনে বিক্রি করেছি।

করোনা ভাইরাসের কারণে খাবারের অভাবে এবছর অধিকাংশ গরু কম দামে বিক্রি করে দিয়েছি। দেখা গেছে যে গরুটি আগে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি হতো সেই গরুটি এবছর ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের হিসাবে দৈনিক ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার গবাদি পশুম বিক্রি করতো খামারিরা।

এসব মূলত মাংস হিসেবে বিক্রি হতো খুচরা পর্যায়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে সেই বিক্রি নেমে এসেছে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকায়। বিক্রি কমে যাওয়ায় খামারের খরচ মেটানোই কঠিন হয়েছে খামার মালিকদের জন্য।

পারভেজ মোশারফ বলেন, অধিকাংশ খামারি দোকানদারের কাছ থেকে বাকিতে খাবার আনে গরুর জন্য।

করোনা ভাইরাসের ছুটির কারণে সময়মতো গরু বিক্রি করে টাকা দিতে পারবো কিনা সেই ভয়ে দোকানদার আমাদের খাবার সরবরাহ করা বন্ধ করে দিয়েছে। দাম বেড়েছে রেডিমিক্স ও গমের ভুসির।

বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ ইমরান বলেন, এবার সত্যিকার অর্থে বেচাবিক্রির অবস্থা খুবই খারাপ।

৬০ থেকে ৭০ শতাংশ খামারিদের বিক্রি বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ৪৫ কোটি টাকার মাংস বিক্রি হতো সেটা ১৫ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।