ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ Logo ঈদ ছাড়াও সিনেমা সুপারহিট হয়: শাকিব খান Logo যুক্তরাজ্যে গেলেই গ্রেপ্তার হবেন নেতানিয়াহু! Logo নওগাঁ ছাত্র -জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা Logo নির্বাচন দ্রুত হওয়া প্রয়োজন, নয়তো ষড়যন্ত্র বাড়বে: তারেক রহমান Logo আদানির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি Logo ইউক্রেনের প্রথম আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল রাশিয়া Logo সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে সম্ভাষণ জানালেন ড. ইউনূস Logo সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বুলবুল গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার Logo সাফ চ্যাম্পিয়ন তিন নারী খেলোয়াড়কে সাতক্ষীরায় গণসংবর্ধনা

ক্রয়াদেশ বাতিল রোধে ইইউ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের চিঠি

ইইউ পার্লামেন্ট

অর্থনীতি ডেস্কঃ   বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার তৈরি পোশাকের একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অনেক বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ঢালাওভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করায় এ বিষয়ে ইইউ পার্লামেন্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোর ক্রয়াদেশ বাতিল ও মূল্য কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ ধরনের অনৈতিক ও অস্বস্তিকর পদক্ষেপ পোশাক ব্যবসার নৈতিকতার ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

উপরন্তু এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চেতনার পরিপন্থী বলে চিঠিতে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টের কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (আইএনটিএ) হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

গত ১৩ মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ও কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (আইএনটিএ) চেয়ার মি. ব্রান্ড ল্যাঞ্জের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

চিঠিতে আইএনটিএর চেয়ারকে উদ্দেশ করে বলা হয়, কোভিড-১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রফতানিভিত্তিক তৈরি পোশাক কারখানায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

দেশের রফতানি আয়ের ৮০ ভাগই আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এ মুহূর্তে এই খাতটিকে পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে ধস পড়তে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার পোশাকখাতকে চাঙ্গা করতে নানামুখী উদ্দীপনা প্যাকেজ গ্রহণ করেছে। তবে এটি ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের পক্ষে যথেষ্ট নয়।

বিশেষ করে যার বেশিরভাগই নারী শ্রমিক-দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। আমরা বুঝতে পারি যে, মহামারিটি (কোভিড-১৯) ইউরোপীয় অনেক ব্যবসায়ও ক্ষতি করেছে।

এই বিরাট চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা ইইউর সহযোগিতা চাই। বিশেষ করে নীতিগত ও মানভিত্তিক বাণিজ্য এবং সবার জন্য দায়বদ্ধ ব্যবসা পরিচালনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইইউ ভূমিকা রাখবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এই চিঠি এমন একসময়ে দেয়া হয়েছে, যখন দেশের রফতানি আয়ের বিপর্যয় ঠেকাতে তিনদিন আগে একটি সভা করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। ওই সভায় পোশাকখাতের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

ট্যাগস

বিএনপি যতই চাপ দিক, সংস্কারের ওপর ভিত্তি করেই নির্বাচন: উপদেষ্টা নাহিদ

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ক্রয়াদেশ বাতিল রোধে ইইউ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের চিঠি

আপডেট সময় ০৪:৩০:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০

অর্থনীতি ডেস্কঃ   বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের পোশাক কারখানার তৈরি পোশাকের একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করা হচ্ছে।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) অনেক বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে ক্রয়াদেশ বাতিল করেছে। ঢালাওভাবে ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করায় এ বিষয়ে ইইউ পার্লামেন্টের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, কিছু ইউরোপিয়ান ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিগুলোর ক্রয়াদেশ বাতিল ও মূল্য কমানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এ ধরনের অনৈতিক ও অস্বস্তিকর পদক্ষেপ পোশাক ব্যবসার নৈতিকতার ধারণার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

উপরন্তু এটি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের চেতনার পরিপন্থী বলে চিঠিতে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সমাধান চেয়ে ইইউ পার্লামেন্টের কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (আইএনটিএ) হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

গত ১৩ মে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য ও কমিটি অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের (আইএনটিএ) চেয়ার মি. ব্রান্ড ল্যাঞ্জের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন।

চিঠিতে আইএনটিএর চেয়ারকে উদ্দেশ করে বলা হয়, কোভিড-১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রফতানিভিত্তিক তৈরি পোশাক কারখানায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।

দেশের রফতানি আয়ের ৮০ ভাগই আসে তৈরি পোশাকখাত থেকে। এ মুহূর্তে এই খাতটিকে পর্যাপ্ত সহায়তা না দিলে ধস পড়তে পারে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকার পোশাকখাতকে চাঙ্গা করতে নানামুখী উদ্দীপনা প্যাকেজ গ্রহণ করেছে। তবে এটি ৪০ লাখ শ্রমিকের জীবন ও জীবিকা নির্বাহের পক্ষে যথেষ্ট নয়।

বিশেষ করে যার বেশিরভাগই নারী শ্রমিক-দেশের টেকসই উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। আমরা বুঝতে পারি যে, মহামারিটি (কোভিড-১৯) ইউরোপীয় অনেক ব্যবসায়ও ক্ষতি করেছে।

এই বিরাট চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা ইইউর সহযোগিতা চাই। বিশেষ করে নীতিগত ও মানভিত্তিক বাণিজ্য এবং সবার জন্য দায়বদ্ধ ব্যবসা পরিচালনা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ইইউ ভূমিকা রাখবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

এই চিঠি এমন একসময়ে দেয়া হয়েছে, যখন দেশের রফতানি আয়ের বিপর্যয় ঠেকাতে তিনদিন আগে একটি সভা করেছে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। ওই সভায় পোশাকখাতের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে ক্রেতাদের সিদ্ধান্ত বদলাতে কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।