ঢাকা ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং এর দায়ে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ শফিকুল্লাহ

আফগান ক্রিকেটার শফিক

ক্রীড়া ডেস্কঃ  দুর্নীতির দায়ে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেটার শফিকুল্লাহ শফিককে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কোডের ৪টি ধারা ভাঙার অভিযোগ এসেছে।

নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের ২০১৯ সালের সংস্করণে ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি, সঙ্গে ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতি করেছেন বলেও জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন কোডের ২.১.১, ২.১.৩, ২.১.৪ ও ২.৪.৪ ধারা ভেঙেছেন শফিক।

যেগুলোর মধ্যে আছে ফিক্সিং অথবা অন্য কাউকে অনপুযুক্ত উপায়ে প্রভাবিত করা, ঘরোয়া ম্যাচে ঘুষ বা পুরস্কার নেওয়ার মতো কর্মকান্ডে অংশ নেওয়া, যা ফলাফলে প্রভাব রাখতে পারে, অন্য কাউকে প্রভাবিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে এসব বিষয়ে অবহিত না করা।

বিপিএলের শেষ আসরে সিলেট থান্ডারের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন শফিকুল্লাহ, করেছিলেন ২, ৬ ও ১০ রান।

এ বিষয়ে এসিবির দুর্নীতি দমন ম্যানেজার সাইদ আনোয়ার বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুতর অপরাধ, এপিএল (আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ) টি-টোয়েন্টির ২০১৮ সালের আসরে একজন সিনিয়র ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এই ক্রিকেটার ২০১৯ বিপিএলে আরেকটি হাই-প্রোফাইল ম্যাচে একজন সতীর্থকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।’

এ বিবৃতিতে সব আফগানিস্তান ক্রিকেটারকে সতর্কও করেছেন তিনি, ‘যারা ভাবেন তাদের অবৈধ কর্মকান্ড এসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে পৌঁছাবে না।’

তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করে পূর্ণ সহায়তা করেছেন শফিকুল্লাহ। এমন না হলে তার শাস্তি আরও বাড়তে পারতো বলে জানানো হয়েছে।

২০০৯ সালে আফগানিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল শফিকুল্লাহর। তাদের হয়ে ২৪টি ওয়ানডের সঙ্গে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ৩০ বছর বয়সী। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।

 

ট্যাগস

বিপিএলে ম্যাচ ফিক্সিং এর দায়ে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ শফিকুল্লাহ

আপডেট সময় ০৪:৩৯:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ মে ২০২০

ক্রীড়া ডেস্কঃ  দুর্নীতির দায়ে ৬ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেটার শফিকুল্লাহ শফিককে। সব মিলিয়ে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কোডের ৪টি ধারা ভাঙার অভিযোগ এসেছে।

নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন হবে না বলেও জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলের ২০১৯ সালের সংস্করণে ফিক্সিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন তিনি, সঙ্গে ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে দুর্নীতি করেছেন বলেও জানিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতি দমন কোডের ২.১.১, ২.১.৩, ২.১.৪ ও ২.৪.৪ ধারা ভেঙেছেন শফিক।

যেগুলোর মধ্যে আছে ফিক্সিং অথবা অন্য কাউকে অনপুযুক্ত উপায়ে প্রভাবিত করা, ঘরোয়া ম্যাচে ঘুষ বা পুরস্কার নেওয়ার মতো কর্মকান্ডে অংশ নেওয়া, যা ফলাফলে প্রভাব রাখতে পারে, অন্য কাউকে প্রভাবিত করা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে এসব বিষয়ে অবহিত না করা।

বিপিএলের শেষ আসরে সিলেট থান্ডারের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছেন শফিকুল্লাহ, করেছিলেন ২, ৬ ও ১০ রান।

এ বিষয়ে এসিবির দুর্নীতি দমন ম্যানেজার সাইদ আনোয়ার বলেছেন, ‘এটা খুবই গুরুতর অপরাধ, এপিএল (আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগ) টি-টোয়েন্টির ২০১৮ সালের আসরে একজন সিনিয়র ক্রিকেট দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এই ক্রিকেটার ২০১৯ বিপিএলে আরেকটি হাই-প্রোফাইল ম্যাচে একজন সতীর্থকে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন।’

এ বিবৃতিতে সব আফগানিস্তান ক্রিকেটারকে সতর্কও করেছেন তিনি, ‘যারা ভাবেন তাদের অবৈধ কর্মকান্ড এসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে পৌঁছাবে না।’

তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ স্বীকার করে পূর্ণ সহায়তা করেছেন শফিকুল্লাহ। এমন না হলে তার শাস্তি আরও বাড়তে পারতো বলে জানানো হয়েছে।

২০০৯ সালে আফগানিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছিল শফিকুল্লাহর। তাদের হয়ে ২৪টি ওয়ানডের সঙ্গে ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন এই ৩০ বছর বয়সী। তবে গত বছরের সেপ্টেম্বরের পর থেকে আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।