ঢাকা ১২:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :
Logo বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয় Logo নওগাঁয় চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগে মানব বন্ধন Logo নওগাঁয় মোবাইল কোর্টে ব্যবসায়ী ও ট্রাক চালকের জরিমানা Logo সেবা প্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য নিজ উদ্যোগে ব্রেঞ্চ দিলেন বেলাল Logo বাংলাদেশ ব্যাটিং ব্যর্থতায় এক ম্যাচ আগেই সিরিজ হার Logo মানুষ আমার প্রেমে পড়ে, আমি পড়ি না: পরীমণি Logo বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ব্যবসা বন্ধ করলে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত Logo অন্তর্বর্তী সরকার আ.লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে না: জিএম কাদের Logo দ্বিতীয়বার রাজপথে নামতে প্রস্তুত আছি,,প্রয়োজনে জীবন দিতেও প্রস্তুত: সারজিস আলম Logo এমএলএসের মৌসুম সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি

ফ্ল্যামেঙ্গোর ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত

ক্রীড়া ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাসকে শুরুতে পাত্তা না দেওয়ার ফল যেসব দেশ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, ব্রাজিল তাদের অন্যতম। দেশটি এখন করোনার অন্যতম হটস্পট। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের বাকি সময়ের খেলা ফের শুরু হচ্ছে।

ফের মৌসুম শুরুর আগে ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সেখানেই চমকে দেওয়া তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরীক্ষায় ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়ন ফ্ল্যামেঙ্গোর ৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।

২০১৯ কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী ক্লাবটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৯৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে মূল দলের ৩ জন খেলোয়াড়ের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর ঘরোয়া ফুটবল স্থগিত করা হয় ব্রাজিলে। ফুটবলারদের সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরীক্ষার ফলাফল বলছে তারা নিয়ম মেনে চলেননি।

অবাক করা ব্যাপার হলো, ফ্ল্যামেঙ্গোর করোনা আক্রান্ত ৩৮ জনের শরীরে কোনো উপসর্গ ছিল না। এখন সবাইকে পরিবারসহ ফের কোয়রেন্টিনে যেতে হবে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে ফের পরীক্ষা করানো হবে। তখন যদি নেগেটিভ আসে তাহলেই কেবল কাজে যোগ দিতে পারবে।

এর আগে একই ক্লাবের দুই খেলোয়াড়সহ মোট ১১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্লাবের পর্তুগিজ ম্যানেজার জেসুসও গত মার্চে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

করোনার কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফ্ল্যামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের মে ও জুন মাসের বেতনের ২৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে। পরের সপ্তাহেই খেলোয়াড়রা অনুশীলনে ফিরতে পারেন।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অষ্টম স্থানে আছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে করোনা ধাক্কা সামলে ফের ঘরোয়া মৌসুম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন লিগের ক্লাব। স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সেখানে কোনো করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়নি।

তবে শুরুর পরিকল্পনা চলাকালীন আবারও ভাবতে হচ্ছে ইতালিয়ান সিরি’আ কর্তৃপক্ষকে। কারণ ফিওরেন্তিনার তিনজন খেলোয়াড়ের করোনা পজিটিভ এসেছে।

কেবল খেলোয়াড় নয়, আক্রান্ত হয়েছেন ক্লাবটির তিনজন সহকারী কর্মীদের সদস্যও। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেনি ফিওরেন্তিনা।

করোনা আক্রান্ত ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ক্লাবটির বাকি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মেডিকেল ও ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে।

ট্যাগস
সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়া কাপ জয়

আলিশান চাল, নওগাঁ

বিজ্ঞাপন দিন

ফ্ল্যামেঙ্গোর ৩৮ জন করোনায় আক্রান্ত

আপডেট সময় ০৫:৩২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মে ২০২০

ক্রীড়া ডেস্কঃ  করোনা ভাইরাসকে শুরুতে পাত্তা না দেওয়ার ফল যেসব দেশ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে, ব্রাজিল তাদের অন্যতম। দেশটি এখন করোনার অন্যতম হটস্পট। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্ত্বেও দেশটিতে ঘরোয়া ফুটবল মৌসুমের বাকি সময়ের খেলা ফের শুরু হচ্ছে।

ফের মৌসুম শুরুর আগে ব্রাজিলের ক্লাবগুলোর খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর সেখানেই চমকে দেওয়া তথ্য বেরিয়ে এসেছে। পরীক্ষায় ব্রাজিলিয়ান চ্যাম্পিয়ন ফ্ল্যামেঙ্গোর ৩৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।

২০১৯ কোপা লিবার্তাদোরেস জয়ী ক্লাবটির খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ২৯৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে মূল দলের ৩ জন খেলোয়াড়ের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর ঘরোয়া ফুটবল স্থগিত করা হয় ব্রাজিলে। ফুটবলারদের সবাইকে নিজ নিজ বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু করোনা পরীক্ষার ফলাফল বলছে তারা নিয়ম মেনে চলেননি।

অবাক করা ব্যাপার হলো, ফ্ল্যামেঙ্গোর করোনা আক্রান্ত ৩৮ জনের শরীরে কোনো উপসর্গ ছিল না। এখন সবাইকে পরিবারসহ ফের কোয়রেন্টিনে যেতে হবে। কোয়ারেন্টিন শেষ হলে ফের পরীক্ষা করানো হবে। তখন যদি নেগেটিভ আসে তাহলেই কেবল কাজে যোগ দিতে পারবে।

এর আগে একই ক্লাবের দুই খেলোয়াড়সহ মোট ১১ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। ক্লাবের পর্তুগিজ ম্যানেজার জেসুসও গত মার্চে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এক সপ্তাহ চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরেছেন।

করোনার কারণে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ফ্ল্যামেঙ্গোর খেলোয়াড়দের মে ও জুন মাসের বেতনের ২৫ শতাংশ কেটে রাখা হয়েছে। পরের সপ্তাহেই খেলোয়াড়রা অনুশীলনে ফিরতে পারেন।

ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে অষ্টম স্থানে আছে। ওয়ার্ল্ডোমিটার’র সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৩৬ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

এদিকে করোনা ধাক্কা সামলে ফের ঘরোয়া মৌসুম শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন লিগের ক্লাব। স্প্যানিশ লা লিগার ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। সেখানে কোনো করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায়নি।

তবে শুরুর পরিকল্পনা চলাকালীন আবারও ভাবতে হচ্ছে ইতালিয়ান সিরি’আ কর্তৃপক্ষকে। কারণ ফিওরেন্তিনার তিনজন খেলোয়াড়ের করোনা পজিটিভ এসেছে।

কেবল খেলোয়াড় নয়, আক্রান্ত হয়েছেন ক্লাবটির তিনজন সহকারী কর্মীদের সদস্যও। খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের নাম প্রকাশ করেনি ফিওরেন্তিনা।

করোনা আক্রান্ত ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ক্লাবটির বাকি খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মেডিকেল ও ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে।