নওগাঁর, ধামইরহাট প্রতিনিধিঃ নওগাঁর ধামইরহাটে ঢাকা ফেরত গার্মেন্টসকর্মী স্বামী-স্ত্রী করোনাভাইরাস আতঙ্ক নিয়ে কাউকে না জানিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তারা দুজনেই ঢাকা মিরপুরে গার্মেন্টসে কাজ করতেন।
ধামইরহাট উপজেলা প্রশাসন পিড়লডাঙ্গা গ্রামের বাড়িটি লকডাউন ঘোষণা করেছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস।
পলাতক আব্দুর রশীদ (২৬) ধামইরহাট ইউনিয়নের পিড়লডাঙ্গা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলামের ছেলে । তিনি ঢাকা ফেরত গার্মেন্টসকর্মী।
ডা. স্বপ্নন কুমার বিশ্বাস বলেন, জয়পুরহাটের ইউএনও মহোদয় আমাকে জানিয়েছেন, আব্দুর রশীদ নামে ঢাকা ফেরত ওই যুবক এবং তার স্ত্রী ঢাকা থেকে জয়পুরহাটে আসেন।
জয়পুরহাটের স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের এক সপ্তাহের জন্য ইনস্টিটিউশন কোয়ারেন্টাইনে রেখে ছাড়পত্র দিয়ে বিদায় দেন। তারপর তারা খঞ্জনপুর কুটিবারি এলাকায় রশীদের শ্বশুর বাড়িতে ছলে যান।
কিছুদিন পর হঠাৎ আব্দুর রশীদের জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথা শুরু হলে পালিয়ে নিজের বাড়ি ধামইরহাট উপজেলা পিড়লডাঙ্গা নিজ গ্রামে চলে আসেন।
আমরা খবর পেয়ে বুধবার (৬মে) রাতেই পিড়লডাঙ্গা রোগীর বাড়ি গিয়ে তাকে খুঁজে পাইনি। তিনি পলাতক। তাকে খুঁজে পেলে জয়পুরহাটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হবে।
রশীদের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, রশীদ ও তার স্ত্রী দুজনেই মিরপুরের গার্মেন্টসকর্মী। ১৬ এপ্রিল ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে ১৭ এপ্রিল স্বামী-স্ত্রী দুজনেই জয়পুরহাটে রশীদের শ্বশুর বাড়িতে উঠে।
সেখান থেকে ঢাকা ফেরত করোনা রোগী সন্দেহে পুলিশ তাদেরকে জয়পুরহাট কারিগরী সেন্টারে সাতদিনের চিকিৎসা দেয়। শরীরে করোনাভাইরাস না থাকায় ছাড়পত্র দিয়ে ৩ মে ছেড়ে দিলে দুদিন পর বাসায় আসে।
তিনি বলেন, গত বুধবার বিকালে মটরসাইকেল নিয়ে কোথায় যে চলে গেছে জানিনা। এখন লোক মুখে জানতে পারলাম তার করোনা হয়েছে। আগে জানতে পারলে কোথাও যেতে দিতাম না।