ঢাকা ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘাটাইলে করোনার প্রভাবে ব্যাপক লোকসানে কলা চাষীরা

আল-আমিন হোসেন বিপ্লব ঘাটাইল(টাংগাইল) প্রতিনিধি: ঘাটাইলে কোটি কোটি টাকার উৎপাদন কলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাহাড়ী অঞ্চলের শত শত কলা চাষীরা

বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রভাবে লকডাউন থাকায় কলার আড়ৎ ও মোকাম বন্ধ,বাজার বন্ধ,পাইকার ও ব্যাপারী না আসায় কলা বিক্রি করতে পাড়ছে না কলা চাষীরা।

পাহাড়ী অঞ্চলে মানুষদের মূল আবাদ হল কলা চাষ ।তারা সারা বছর কলা উৎপাদন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উৎপাদন কলা ঢাকা,রাজশাহী,কক্সবাজার,সিলেট,নাটোর,ভৈরবসহ দেশের নানা জেলায় কলা বেচা-কেনা হয়। কিন্তু করোনার প্রভাবে কলা ব্যাপারীরা কলা ক্রয় করতে আসেনি ।

কলা বিক্রি না করতে পাড়ায় কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলা চাষীদের। ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল সন্ধানপুর ইউনিয়নে কুশারিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে কৃষক খন্দকার ফারুক,আরিফুল ইসলাম,সাত্তার ভূইয়া,রেজাউলের সাথে কথা বলে জানাযায়, ৫ বিঘা থেকে ১০০ বিঘা জমি পর্যন্ত রয়েছে তাদের কলা বাগান। বাজার মন্দা কলা বিক্রি নাই তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করছে কিন্তু অর্ধেক খরচ উঠে না ।

কলা চাষ করতে গিয়ে ৩০/৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৠণে আছে তারা। তাদের প্রতিমাসে দিতে হচ্ছে মাসিক কিস্তি ।এ ছাড়া রিন্ ঋণ  নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা সব চেয়ে বেশি । তাদের কলা বিক্রি থমকে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছে । কি করে পরিশোধ করবে লেনা-দেনা এ নিয়ে চিন্তায় তারা হতাশ ।

কলা বিক্রি না করতে পাড়ায় কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলা চাষীদের

তারা বলছে মরণ ছাড়া আমাদের উপায় নেই তাই
সরকারের প্রতি আমাদের দাবী,কৃষি প্রনোদনার মাধ্যমে ভর্তুকির ব্যবস্থা করে ক্ষতি পোষানো, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড: উম্মে হাবীবা জানান,কৃষি প্রনোদনায় কলা চাষীদের তেমন কোন সহযোগীতা নেই তবে মহামারীর কারণে নতুন প্রনোদনায় স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে চাষীদের ৠণ দিয়ে সহযোগীতা করা যেতে পারে ।

ট্যাগস

ঘাটাইলে করোনার প্রভাবে ব্যাপক লোকসানে কলা চাষীরা

আপডেট সময় ০৪:৩৩:১৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ এপ্রিল ২০২০

আল-আমিন হোসেন বিপ্লব ঘাটাইল(টাংগাইল) প্রতিনিধি: ঘাটাইলে কোটি কোটি টাকার উৎপাদন কলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাহাড়ী অঞ্চলের শত শত কলা চাষীরা

বাম্পার ফলন হলেও করোনার প্রভাবে লকডাউন থাকায় কলার আড়ৎ ও মোকাম বন্ধ,বাজার বন্ধ,পাইকার ও ব্যাপারী না আসায় কলা বিক্রি করতে পাড়ছে না কলা চাষীরা।

পাহাড়ী অঞ্চলে মানুষদের মূল আবাদ হল কলা চাষ ।তারা সারা বছর কলা উৎপাদন করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। উৎপাদন কলা ঢাকা,রাজশাহী,কক্সবাজার,সিলেট,নাটোর,ভৈরবসহ দেশের নানা জেলায় কলা বেচা-কেনা হয়। কিন্তু করোনার প্রভাবে কলা ব্যাপারীরা কলা ক্রয় করতে আসেনি ।

কলা বিক্রি না করতে পাড়ায় কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলা চাষীদের। ঘাটাইল উপজেলার পাহাড়ী অঞ্চল সন্ধানপুর ইউনিয়নে কুশারিয়া গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে কৃষক খন্দকার ফারুক,আরিফুল ইসলাম,সাত্তার ভূইয়া,রেজাউলের সাথে কথা বলে জানাযায়, ৫ বিঘা থেকে ১০০ বিঘা জমি পর্যন্ত রয়েছে তাদের কলা বাগান। বাজার মন্দা কলা বিক্রি নাই তারা লাখ লাখ টাকা খরচ করছে কিন্তু অর্ধেক খরচ উঠে না ।

কলা চাষ করতে গিয়ে ৩০/৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৠণে আছে তারা। তাদের প্রতিমাসে দিতে হচ্ছে মাসিক কিস্তি ।এ ছাড়া রিন্ ঋণ  নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তা সব চেয়ে বেশি । তাদের কলা বিক্রি থমকে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকা লোকসানে পড়েছে । কি করে পরিশোধ করবে লেনা-দেনা এ নিয়ে চিন্তায় তারা হতাশ ।

কলা বিক্রি না করতে পাড়ায় কোটি কোটি টাকার লোকসান হচ্ছে কলা চাষীদের

তারা বলছে মরণ ছাড়া আমাদের উপায় নেই তাই
সরকারের প্রতি আমাদের দাবী,কৃষি প্রনোদনার মাধ্যমে ভর্তুকির ব্যবস্থা করে ক্ষতি পোষানো, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঘাটাইল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড: উম্মে হাবীবা জানান,কৃষি প্রনোদনায় কলা চাষীদের তেমন কোন সহযোগীতা নেই তবে মহামারীর কারণে নতুন প্রনোদনায় স্বল্প সুদে ব্যাংক থেকে চাষীদের ৠণ দিয়ে সহযোগীতা করা যেতে পারে ।