ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ :

মিটিং ফেলে ডেটিং-এ প্রধানমন্ত্রী, খেসারত দিচ্ছে বৃটেন

ক্যারি সাইমন্ডস ও বরিস জনসন

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  করোনায় বেশী মৃত্যুর দেশগুলোর তালিকায় উপরের দিকে বৃটেনের নাম। প্রতিদিন শত শত লাশ যুক্ত হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলে। বৃটেনে করোনার এমন ভয়াবহ রুপ নেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবহেলা। করোনা সংকটের মধ্যে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের একটি দৈনিক।

দৈনিকটি তাদের রিপোর্টে বলছে, করোনা সংক্রান্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সময়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা সঙ্গিনী ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে ১২ দিনের জন্য ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন।

অবশ্য সমালোচনার মুখে ক্যাবিনেট অফিসের মন্ত্রী মাইকেল গোভ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ার দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন।

ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজারের উপরে। দৈনিকটির অভিযোগ, বরিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সপ্তাহ হেলায় নষ্ট করেছেন।

ওই রিপোর্টে দাবি, ২৪ জানুয়ারি চিন থেকে অন্তত ছয়টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। সে সময়ে ব্রিটিশ সরকার প্রথম বৈঠক ডাকে। তাতে না গিয়ে ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে চিনা দূতের সঙ্গে চিনা নববর্ষ উদ্‌যাপনে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনেক বেশি চিন্তা তখন চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে।

২৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে প্রথম দুইটি সংক্রমণের খবর মেলে। ইয়র্কশায়ারেরর একটি হোটেলে অসুস্থ হন দুই চিনা নাগরিক। ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রেমিকার সঙ্গে কেন্টে ১২ দিনের ছুটি কাটাতে চলে যান বরিস।

সে সময়ে পরপর কোবরা বৈঠক হয়ে যায় তাকে ছাড়াই। ফলে অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। অভিযোগ, করোনাকে সাধারণ ফ্লু বলে মনে করা হয়েছিল।

মার্চের মধ্যে গোটা লন্ডনে ছড়িয়ে যায় ভাইরাস। তখনও অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ রোজ বাইরে বেরিয়েছে‌ন। মার্চের গোড়ায় বরিস জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের স‌ঙ্গেও করমর্দন করেছেন! অবশেষে ২৩ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন।

ট্যাগস

বনি আমার প্রেমিক ছিল না,ওর সঙ্গে আর সিনেমা করব না: ঋত্বিকা সেন

মিটিং ফেলে ডেটিং-এ প্রধানমন্ত্রী, খেসারত দিচ্ছে বৃটেন

আপডেট সময় ০২:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  করোনায় বেশী মৃত্যুর দেশগুলোর তালিকায় উপরের দিকে বৃটেনের নাম। প্রতিদিন শত শত লাশ যুক্ত হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলে। বৃটেনে করোনার এমন ভয়াবহ রুপ নেওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবহেলা। করোনা সংকটের মধ্যে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি প্রকাশ করেছে ব্রিটেনের একটি দৈনিক।

দৈনিকটি তাদের রিপোর্টে বলছে, করোনা সংক্রান্ত পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে যোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। সেই সময়ে তিনি অন্তঃসত্ত্বা সঙ্গিনী ক্যারি সাইমন্ডসের সঙ্গে ১২ দিনের জন্য ছুটি কাটাতে চলে গিয়েছিলেন।

অবশ্য সমালোচনার মুখে ক্যাবিনেট অফিসের মন্ত্রী মাইকেল গোভ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ না দেওয়ার দাবি একেবারেই ভিত্তিহীন।

ব্রিটেনে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ২০ হাজারের উপরে। দৈনিকটির অভিযোগ, বরিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি সপ্তাহ হেলায় নষ্ট করেছেন।

ওই রিপোর্টে দাবি, ২৪ জানুয়ারি চিন থেকে অন্তত ছয়টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাস। সে সময়ে ব্রিটিশ সরকার প্রথম বৈঠক ডাকে। তাতে না গিয়ে ১০, ডাউনিং স্ট্রিটে চিনা দূতের সঙ্গে চিনা নববর্ষ উদ্‌যাপনে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার অনেক বেশি চিন্তা তখন চুক্তিহীন ব্রেক্সিট নিয়ে।

২৯ জানুয়ারি ব্রিটেনে প্রথম দুইটি সংক্রমণের খবর মেলে। ইয়র্কশায়ারেরর একটি হোটেলে অসুস্থ হন দুই চিনা নাগরিক। ফ্রেব্রুয়ারিতে প্রেমিকার সঙ্গে কেন্টে ১২ দিনের ছুটি কাটাতে চলে যান বরিস।

সে সময়ে পরপর কোবরা বৈঠক হয়ে যায় তাকে ছাড়াই। ফলে অনেক সিদ্ধান্ত কার্যকর করা যায়নি। অভিযোগ, করোনাকে সাধারণ ফ্লু বলে মনে করা হয়েছিল।

মার্চের মধ্যে গোটা লন্ডনে ছড়িয়ে যায় ভাইরাস। তখনও অন্তত ৩০ লক্ষ মানুষ রোজ বাইরে বেরিয়েছে‌ন। মার্চের গোড়ায় বরিস জানিয়েছেন, তিনি হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের স‌ঙ্গেও করমর্দন করেছেন! অবশেষে ২৩ মার্চ লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তত দিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তিনি নিজেও আক্রান্ত হয়েছেন।