অর্থনীতি ডেস্কঃ করোনার মধ্যে আবারও সব রকমের চালের দামে আগুন লেগেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে ৮-১২ টাকা। আর মাসের ব্যবধানে বেড়েছে ১২ টাকা।
অভিযোগ উঠেছে, একশ্রেণির মুনাফালোভী ব্যবসায়ী পরিকল্পিতভাবে চালের দাম বাড়িয়েছেন। আর ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, পরিবহন ও শ্রমিক সংকটের কারণে দাম কিছুটা বেড়েছে। করোনা সংকট কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন চাল বাজারে এলে দাম কমবে বলেও জানান তারা।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইজাম ও জিরাসাইল জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৮ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ছিল ৪২ থেকে ৫০ টাকা। আর করোনা আগে ছিল ৩২-৩৫ টাকা।
রাজধানীর রায়েরবাজারে চাল কিনতে আসা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত মাসে ২৫ কেজি নাজিরশাল কিনেছি ১৫শ টাকায়। এখন সেই চাল নিচ্ছে ১৭শ টাকা। আমরা মধ্যবিত্ত মানুষ। এভাবে যদি দাম বাড়তে থাকে তাহলে তো পরিবার নিয়ে আমাদের না খেয়ে মরতে হবে। এমনিতেই করোনার আতঙ্কে আছি। তারপর যদি নিত্য পণ্যের দাম বাড়ে, তখন কোথায় যাবো? ’
যাত্রাবাড়ীর ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘ত্রাণ দিতে অনেকে মোটা চাল কিনছেন। এ কারণে বাজারে মোটা চালের চাহিদা বেড়েছে। ফলে গত সপ্তাহেই বেড়েছে দাম। তবে গত সপ্তাহে চিকন চালের দাম কিছুটা কমছিল। কিন্তু এখন আবার বেড়েছে। আমাদের ধারণা ছিল চালের দাম নতুন করে আর বাড়বে না। কারণ কিছুদিন পরই বাজারে নতুন চাল আসবে। এখন দেখা যাক নতুন চাল বাজারে উঠলে কী হয়। হয়তো দাম কিছুটা কমতেও পারে।’
এদিকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল মালিকরা জানিয়েছেন এখন ধানের অভাব রয়েছে। ধানের দামও বেশি। আবার ঢাকায় চাল আনতে ঠিকমত পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে না। যে পরিবহন পাওয়া যাচ্ছে তার জন্য বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। আবার শ্রমিকও সংকট। তাই চালের দামও বেড়েছে। নতুন চাল এলে এবং পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক হলে দাম কিছুটা কমে যাবে।
চালের দাম নিয়ন্ত্রণে বাজার মনিটরিং প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরিফা খান বলেন, ‘সারা বছরই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হয়। এছাড়া, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)ও নিয়মিত মনিটরিং করছে। কোনো কারণ ছাড়া কেউ অনৈতিক মুনাফা লাভ করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।