আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট এমন মন্তব্য করে মার্কিন অর্থসাহায্য বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আর একারণেই আবার বিতর্কের কেন্দ্রে ট্রাম্প। ট্রাম্পের অভিযোগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চিনের পক্ষ নেওয়ার ফলে বিশ্ব জুড়ে করোনা রোধ করা যাচ্ছে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ওয়েবসাইট অনুযায়ী, তাদের কাছে এসে পৌঁছনো আর্থিক সাহায্যের ১৪.৬৭ শতাংশই আসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সারা বিশ্বে আমেরিকা-ই সবথেকে বেশি সাহায্য করে এই সংস্থাকে। যে সব দেশ সাহায্য করে, তাদের তালিকার একেবারে নীচের দিকে রয়েছে চিন।
শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও দেশ নয়। বহু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও সাহায্য করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে। আসুন, দেখে নিই কোন কোন উৎস থেকে কত পরিমাণ অর্থসাহায্য পায় এ সংস্থা।
আমেরিকার পরেই সাহায্যকারীর দ্বিতীয় স্থানে আছে বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন। বার্ষিক সাহায্যের ৯.৭৬ শতাংশ আসে তাদের সংস্থা থেকে।
৮.৩৯ শতাংশ আর্থিক সাহায্য করে গ্যাভি অ্যালায়েন্স। জেনেভার এই সংস্থা কাজ করে পিপিপি মডেলে। রাষ্ট্র হিসেবে আমেরিকার পরেই সাহায্যকারী হল ব্রিটেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মোট বার্ষিক আর্থিক বাজেটের ৭.৭৯ শতাংশ আসে তাদের থেকে। হু-এর বার্ষিক বাজেটের ৫.৬৮ শতাংশ দেয় জার্মানি। সারা বিশ্বে আমেরিকা, ব্রিটেন এবং জার্মানি, এই তিন দেশই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ৫ শতাংশের বেশি আর্থিক সাহায্য করে।
জাতিসংঘের আরও একটি শাখা ইউএন অফিস ফর দ্য কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাফেয়ার্স-এর থেকেও বড় অঙ্কের সাহায্য পায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বার্ষিক ৫ শতাংশের বেশি সাহায্য আসে তাদের কাছ থেকে। সাহায্যকারীর মধ্যে এর পর আছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (৩.৪২ শতাংশ), রোটারি ইন্টারন্যাশনাল (৩.৩৩ শতাংশ) এবং দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন (৩.৩ শতাংশ)।
রাষ্ট্র হিসেবে এর পর তালিকায় আছে জাপান। জাপানের কাছ থেকে আসে বার্ষিক সাহায্যের ২.৭ শতাংশ। তবে ধনী দেশগুলির তুলনায় যথেষ্ট কম সাহায্য করে চীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্ষিক সাহায্যের মাত্র ০.২১ শতাংশ আসে চিন থেকে।