স্টাফ রিপোর্টার : সুরক্ষা সরঞ্জামের কোনো ঘাটতি নেই। নিজেকে সুরক্ষিত রেখে স্বাস্থ্যকর্মীরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাবেন-এটাই দেশবাসীর প্রত্যাশা। বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
একই সঙ্গে সাধারণ রোগীরা যাতে কোনোভাবেই চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হন, সেদিকে নজর রাখার জন্য আমি প্রতিটি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন তিনি।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিয়োজিত পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, সরকারি কর্মকর্তা, মিডিয়া কর্মী, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী আনা-নেয়ার কাজে এবং মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকারের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মীসহ জরুরিসেবা কাজে যারা নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্ব আজ অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন হতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা আভাস দিচ্ছে। আপনারা জানেন, এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গনিরোধ। অর্থাৎ নিজেকে ঘরবন্দি রাখা। বিশ্বের ২৫০ কোটিরও বেশি মানুষ আজ ঘরবন্দি। কোথাও লকডাউন, কোথাও গণছুটি আবার কোথাও কারফিউ জারি করে মানুষকে ঘরবন্দি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশেও গত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত একটানা ৩২ দিন সাধারণ ছুটি বলবৎ হয়েছে। জরুরি সেবা কার্যক্রম ছাড়া সবকিছু বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ দেশের সিংহভাগ শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ছোটখাটো কারখানা বন্ধ। গণপরিবহন ও বিমান চলাচল স্থগিত। আমাদের আমদানি-রফতানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বেশিরভাগ দেশে প্রবাসী ভাইবোনরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। স্থবিরতা নেমে এসেছে রেমিট্যান্সপ্রবাহে।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব ব্যবস্থার বাইরে নই। বিশ্বের অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা আমাদের অর্থনীতির জন্য দুচিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জানি না, এই সঙ্কট কতদিন থাকবে এবং তা আমাদের অর্থনীতিকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তবুও সম্ভাব্য অর্থনৈতিক নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি।