ডেস্ক রিপোর্টঃ করোনাভাইরাস বা কোভিড -১৯ এ বিপর্যস্ত পুরো বিশ্ব। এর চিকিত্সায় এখন্ও কার্যকর ওষুধ বা ভ্যাকসিন মেলেনি। তবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, বিভিন্ন ট্রায়াল চলছে।
সম্প্রতি অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভির দিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হয়েছে।ট্রায়ালের প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, রেমডেসিভির ওষুধে মারাত্মকভাবে অসুস্থ কোভিড -১৯ আক্রান্তদের চিকিত্সা করা হয়। এতে ৬৮ শতাংশ রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে, ১৫ শতাংশে অবস্থা খারাপ হয়েছে। আর ১৩ শতাংশ মারা গেছেন।
এক কথায় বলা যায়, করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডেসিভিরে দুই তৃতীয়াংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন-এর এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই গবেষণার কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তগুলি উপস্থাপন করে।
শুক্রবার রিপোর্টে জানা গেছে, পরীক্ষার ফলাফল ‘পরামর্শ দেয় যে গুরুতর কোভিড -১৯ এর রোগীদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ক্লিনিকাল সুবিধা পেতে পারে’।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গুরুতর কোভিড -১৯ এর ক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে যারা রেমডেসিভির দিয়ে চিকিত্সা করেছিলেন, তাদের মধ্যে (ক্লিনিকাল) উন্নতি দেখা গেছে।৫৩ রোগীর মধ্যে ৩৬ জন বা ৬৮ শতাংশ সুস্থ হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্যকারিতা পরিমাপের জন্য রেমডেসিভির থেরাপির চলমান প্রক্রিয়া এলোমেলো। এতে প্লাসেবো নিয়ন্ত্রিত ট্রায়ালগুলির প্রয়োজন হবে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই পরীক্ষায় আট রোগী বা ১৫ শতাংশের অবস্থা খারাপ হয়েছে। আর সাত রোগী বা ১৩ শতাংশ মারা গেছেন।
গিলিয়েড সায়েন্সেসের পৃষ্ঠপোষকতায় এই পরীক্ষাটি চালানো হয়েছে।এটা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ২২ জন, ইউরোপ বা কানাডায় ২২ জন এবং জাপানে নয়জন রোগীর চিকিত্সা করা হয়েছিল।এতে ভেন্টিলেটরের ব্যবহার বা পরিপূরক অক্সিজেন গ্রহণ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিমডেসিভির একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ যা ইবোলা, সার্স এবং এমইআরএস এর চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়।
সূত্র : স্পূটনিক