মাহবুবুজ্জামান সেতু,(মান্দা)নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় এই প্রথম স্বল্প সংখ্যক মুক্তাদীদের উপস্থিতিতে কোন রকম বয়ান ও দোয়া ছাড়াই জুমার নামায আদায় করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে নওগাঁর মান্দা উপজেলার অন্তর্গত ৫ নং গনেশপুর ইউনিয়নের গনেশপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদে প্রতি শুক্রবার গনেশপুর উত্তরপাড়া জামে মসজিদে গনেশপুর, গোপালকৃষ্ণ পুর এবং কচুকুড়ি গ্রামের প্রায় শতাধিক মুসল্লিরা নামায আদায় করতেন। ১০ ই এপ্রিল রোজ শুক্রবার দিন ছিলো গরীবের হজ্বের দিন।অথচ, সম্প্রতি সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে আতঙ্কিত মানুষ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারেরর ধর্মমন্ত্রনালয় কর্তৃক নির্দেশনা মেনে এবং নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে জুমার নামায আদায় করা হয়। নামায শেষে যে যার মতো খুব দ্রুত সময়ে নিজেদের বাড়ি ফিরে যান।
এর আগে সকাল ৭ টার দিকে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোবারক হোসেন স্থানীয় মুসল্লিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মসজিদে না এসে বাড়িতে নামায আদায় করার বার্তা পৌঁছে দেন। সে মেতাবেক অধিকাংশ স্থানীয় মুসল্লিরা বাধ্য হয়ে নিজ নিজ বাড়িতেই নামায আদায় করে নেন। জুমার নামায আদায়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অত্র মসজিদের ইমাম হাফেজ সোহেল রানা, মোয়াজ্জেম আলহাজ্ব খিদির মোল্লা এবং স্বল্পসংখ্যক মুক্তাদি ।
এব্যাপারে মসজিদ কমিটির সভাপতি মোবারক হোসেন বলেন, সম্প্রতি ধর্মমন্ত্রনালয় কর্তৃক জারিকৃত প্রজ্ঞাপন এবং মান্দা উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক আজ সকালে মসজিদ কমিটির পক্ষ থেকে অত্র এলাকার মুসল্লিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মসজিদে না এসে নিজ নিজ বাড়িতে নামায আদায়ের জন্য বলা হয়।
সে মোতাবেক আজ স্বল্প সংখ্যক মুসল্লিদের নিয়ে জুমার নামায আদায় করা হয়। মসজিদ কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি অত্র এলাকার মুসল্লিদের এসময় মসজিদে না এসে বরং সরকারি নির্দেশনা মেনে বাড়িতে বসেই নামায আদায়ের আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,আল্লাহ আমাদের সকলকে হেফাজত করুন।সেইসাথে সকলের নামায কবুল করে নেন।
সকলের এমনটিই প্রত্যাশা।আতঙ্ক নয়, বরং সচেতনতা বাড়াই। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খুব দ্রুত এই মরণঘাতী ভাইরাস থেকে রক্ষা পাবো ইনশাআল্লাহ ।