কক্সবাজার প্রতিনিধি: নতুন করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবরে সীমান্তে কঠোর নজরধারী কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবরে সীমান্তে কঠোর নজরধারী করছে বিজিবি।
বিজিবি’র পক্ষে জানানো হয়েছে, রাতে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টার খবর পাওয়ার সাথে সাথে সীমান্তে কঠোর নজরধারী শুরু করা হয়। কোন অবস্থায় নতুন করে রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের দাবি, গত রাতে সীমান্তে দায়িত্বে থাকা একটি সরকারি সংস্থার পক্ষে অবহিত করে, বেশ কিছু রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ চেষ্টা চালাতে পারে।
এমন খবরে এলাকায় বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকিং করে এই বিষয়ে সর্তক করা হয়েছে এবং বিজিবির পাশা-পাশি সাধারণ মানুষ রাতে পাহারাও দিয়েছে। অপেক্ষায় থাকা লোকগুলোর মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোহিঙ্গা রয়েছে বলেও দাবি করছেন সীমান্তের লোকজন। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আঞ্জুমানপাড়ার মেদির খাল নামক সীমান্তে দেড় শতাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ বিষয়টি নিয়ে সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে বিজিবির সঙ্গে কথা হয়েছে, তারা সর্তক অবস্থানে রয়েছে। অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি সাথে সাধারণ জনগণও পাহারা দিচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজারস্থ বিজিবির ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, সীমান্তে রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয়টি সত্য নয়। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করছে এমন তথ্যটি স্থানীয়দের মাধ্যমে পাওয়া পর সীমান্তে নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। আর স্থানীয়রা যেসব সীমান্ত পয়েন্ট রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে আছে বলেছে, ওইসব সীমান্ত পয়েন্টের শূন্যরেখায় বিজিবি টহল করেছে এবং করছে। বিশেষ করে, সীমান্তের শূন্যরেখায় খাল রয়েছে, রোহিঙ্গারা হেঁটে হেঁটে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করবে তা না। তারপরও আমি নিজে পুরো রাত সীমান্তে গিয়ে পরিদর্শন করে এসেছি; কোন কিছুই দেখা যায়নি।
তিনি আরও বলেন, সীমান্তে কোন ধরণের অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেয়া হবে না। এছাড়াও প্রতিটি পয়েন্টে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। উল্লেখ্য, উখিয়ার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২০১৭ সালে ২৫ আগস্টের পর দলে দলে রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছিল। তারা এখন উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছেন। বর্তমানে কক্সবাজারের ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।