স্টাফ রিপোর্টার নওগাঁ: নওগাঁয় হঠাৎ করেই ওষুধের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। জ্বর সর্দিসহ সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, হঠাৎ কিছু ওষুধের চাহিদা বাড়ায় সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। অবশ্য জেলার সিভিল সার্জন,ওষুধের দাম বেশি নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন
করোনা ভাইরাস আতংকে গত এক সপ্তাহ ধরেই নওগাঁর ওষুধের দোকান থেকে অনেকটা উধাও হ্যান্ড স্যানিটেইজার সহ ভাইরাসরোধক বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিক । ৪০ টাকার হ্যান্ড স্যানিটেইজার এখন লুকিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। একই অবস্থা অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রেও । আবহাওয়া পরিবর্তনে বেড়েছে জ্বর সর্দিসহ নানা রোগ বালাই । আর এ সুযোগে ওষুধের দাম বেশি নিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। তারা বলেন, প্যারাসিটামলসহ বিভিন্ন এন্টিবায়োটিকের দাম অত্যন্ত বেশি। নাপা এক্সট্রা এক পাতার দাম আট টাকা ছিল। তা এখন ১৫ টাকা।
স্বাভাবিক রোগ বালাইয়ের জন্য নাপা, প্যারাসিটামলসহ নিত্য ব্যবহার করা সব ধরণের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের দাম প্রকার ভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন দোকানদাররা।
আপদকালীন এ দুর্যোগে অসাধু কারবার রোধে প্রশাসনের জোর নজরদারি দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। কৃর্তিপুর ইউপি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, প্রত্যেকটা পণ্যের দাম তারা বেশি নিচ্ছে। যদিও সরকার বাজার মনিটরিং করছে। কিন্তু আরও জোরালো ভাবে করা দরকার।
তবে কিছু ওষুধের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় সাময়িক সংকটের কথা বলছে ওষুধ সমিতির নেতারা । আর বেশি দাম নেয়ার অভিযোগ মানতে নারাজ ওষুধ ব্যবসায়ীরা । তারা বলেন, চাহিদা অনেক বেড়ে গেছে। এমনিতেই সংকট চলছে। এখন কোন ব্যবসায়ীর ফায়দা লোটার সুযোগ নেই।
করোনা ভাইরাসকে পূঁজি করে ওষুধের বেশি দাম নেয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানারেন সিভিল সার্জন। তিনি বলেন, কোন ঘাটতি নেই। ওষুধ পরিবহন বন্ধ নেই। তৈরি বন্ধ নেই। ঘাটতি থাকার কথাও নয়।
ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির তথ্য মতে, জেলায় ছোট বড় আড়াই হাজার ফার্মেসির দোকান রয়েছে।