পঞ্চগড় প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হওয়া তরুণ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন বলে জানায় সিভিল সার্জন,পঞ্চগড়।
শুক্রবার (২৭ মার্চ) সকালে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ওই তরুণের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলের বরাত দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মো. ফজলুর রহমান।
এ ছাড়া শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান সিভিল সার্জন। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি এসে ওই তরুণের করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় নিয়ে যান।
জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তাঁর স্বজনেরা। এ সময় তাঁর শরীরে জ্বর, সর্দি-কাশি, গলাব্যথা, বুকে ব্যথাসহ শ্বাসকষ্ট ছিল। এসব উপসর্গ দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করোনায় আক্রান্ত সন্দেহ হলে তাঁকে হাসপাতালের চতুর্থ তলায় করা ১০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করে। সেই সঙ্গে তিনি যে বাড়িতে উঠেছিলেন, ওই বাড়ির মালিকসহ নয়জনের মধ্যে এমন উপসর্গ না থাকলেও তাঁদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়।
সিভিল সার্জন মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘রবিবার গভীর রাত থেকে হাসপাতালে আসা ওই তরুণকে আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়। এর আগে তাঁর বিদেশে যাওয়া বা কোনো বিদেশির সংস্পর্শে আসার ইতিহাস পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত অ্যাজমা রোগ ছিল বলে তিনি আমাদের জানিয়েছিলেন। তবে চিকিৎসার পর তিনি পরদিন সকাল থেকেই অনেকটা সুস্থ হয়ে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ।
মঙ্গলবার আইইডিসিআরের প্রতিনিধিরা এসে তাঁর করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। শুক্রবার সকালে আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, ওই তরুণের পরীক্ষার ফল নেগেটিভ।’ সিভিল সার্জন বলেন, শারীরিক কোনো সমস্যা না থাকায় ওই তরুণকে এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ওই তরুণ মাদারীপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি স্ত্রী, এক কন্যাসন্তানসহ ঢাকায় বসবাস করতেন। ১৬ মার্চ তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে নওগাঁ জেলায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। সেখান থেকে শাশুড়িকে নিয়ে ২০ মার্চ পঞ্চগড়ের ধাক্কামারা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকা শ্যালিকার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। সেখানে আসার পর তিনি জ্বর, সর্দি ও কাশি শুরু হয়। পরে রবিবার রাতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্বজনেরা তাঁকে পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।